ইংল্যান্ডে জৈব সুরক্ষাবলয় ভাঙার দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তিন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দানুসকা গুনাতিলাকা, কুশল মেন্ডিস ও নিরোশান ডিকভেলাকে। ছয় মাসের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলতে পারবেন না তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁদের ১ কোটি শ্রীলঙ্কান রুপি (প্রায় ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) জরিমানাও করা হয়েছে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেও মুক্তি মিলবে না তাঁদের। সেই সঙ্গে আরও এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তিও মিলতে পারে, সেই স্থগিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দুই বছরের।
গত মাসে ইংল্যান্ড সফরে ডারহামে জৈব সুরক্ষাবলয় ভেঙে রাস্তায় দেখা গিয়েছিল এই তিনজনকে। রাস্তায় মেন্ডিস ও ডিকভেলার এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সে ভিডিওতে দেখা না গেলেও দুজনের সঙ্গে গুনাতিলাকাও ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। এরপরই ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল তাঁদের। তদন্ত সাপেক্ষে এরপর সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছিল তিনজনকে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের দেওয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, ‘এ তিনজন জৈব সুরক্ষাবলয় ভেঙে নিজেদের এবং সতীর্থদের নিরাপত্তা ব্যাহত করেছেন। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নির্ধারিত সময়ের পর হোটেল রুমে ফিরেছেন। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ও দেশের জন্য লজ্জা বয়ে এনেছেন তাঁরা।’
তিনজনের শাস্তির সিদ্ধান্ত এসেছে শুক্রবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর। এর আগে তিনজনের কঠোর শাস্তির সুপারিশ করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের গঠিত দেশটির সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতির নেতৃত্বে এক কমিটি। সে কমিটি মেন্ডিস ও গুনাতিলাকাকে দুই বছর এবং ডিকভেলাকে ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছিল। সে কমিটির সুপারিশের ব্যাপারে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা ক্রিকইনফোকে বলেছিলেন, ‘এ কমিটির প্রধান সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক বিচারপতি। এ কমিটি খুবই দক্ষ। ফলে তাদের সুপারিশ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি।’
ডিকভেলা বাদে বাকি দুজনের বিপক্ষে এর আগেও ছিল অভিযোগ। একাধিকবার শৃঙ্খলার কারণে শাস্তির মুখেও পড়েছিলেন গুনাতিলাকা। আর গত বছর এক সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মেন্ডিসকে। পরে জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন সেই গাড়ির চালক মেন্ডিস। শাস্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই তিনজনকে শ্রীলঙ্কা পাবে না, এমন বার্তা গিয়েছিল দলীয় ম্যানেজমেন্টের কাছে।