জেলে যেতে চান না পিস্টোরিয়াস

অস্কার পিস্টোরিয়াস
অস্কার পিস্টোরিয়াস

দক্ষিণ আফ্রিকার আদালতের প্রথম রায়ে বলা হয়েছিল অনিচ্ছাকৃত হত্যা। কিন্তু পরে আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়, অস্কার পিস্টোরিয়াস তাঁর বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে জেনেবুঝেই হত্যা করেছেন। এতে তাঁর শাস্তি বেশি হওয়াটাই কাঙ্ক্ষিত, সেই সাজা ঘোষণারই অপেক্ষা এখন। শাস্তি মেনে নিতে আপত্তি নেই ‘ব্লেড রানার’ হিসেবে খ্যাত পিস্টোরিয়াসেরও। তবে এখনো দাবি করে যাচ্ছেন, ভুল বুঝেই গুলি করেছিলেন বান্ধবীকে। জেনেবুঝে হত্যা তিনি করেননি। আর সেই দায় নিয়ে জেলে যেতে চান না!
অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগে ২০১৪ সালের অক্টোবরে পিস্টোরিয়াসকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত বছরের শেষ দিকে আগের রায় বদলে পিস্টোরিয়াসকে সরাসরি হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন উচ্চ আদালত। পুরো মামলা চলাকালে অনেকবার জবানবন্দি দিয়েছেন পিস্টোরিয়াস। তবে বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে হত্যার পর সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন এই প্রথম। আই টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্যারালিম্পিকে একাধিক সোনাজয়ী এই স্প্রিন্টার বলেছেন, ‘মাঝে মাঝে আমারও মনে হয়, অন্য একজনের জীবন নিয়ে নেওয়ার কারণে আমার বেঁচে থাকার অধিকার নেই। কিন্তু আমার সমস্যা জেনেবুঝে হত্যার অভিযোগ নিয়ে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী এ ধরনের হত্যার জন্য সর্বনিম্ন শাস্তি ১৫ বছরের জেল। তবে বিচারক বিশেষ বিবেচনায় সেটিও কমাতে পারেন। পিস্টোরিয়াসের সামনে হয়তো দীর্ঘ কারাবাসই অপেক্ষা করছে। তবে জেলে যেতে এখন বেশ ভয়ই পাচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী প্যারালিম্পিয়ান, ‘আমি আর জেলে ফিরে যেতে চাই না। সেখানে বসে নিজের জীবন নষ্ট করতে চাই না।’ এর বদলে সুযোগ চান অন্যভাবে প্রায়শ্চিত্ত করার, ‘যদি আমাকে পাপমোচনের সুযোগ দেওয়া হয়, আমি সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করতে চাই, যেটি আগেও করেছি। আমি বিশ্বাস করি, রিভা বেঁচে থাকলে সে-ও এটাই চাইত।’
২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে পিস্টোরিয়াসের নিজের বাসায় তাঁর ছোড়া গুলিতে নিহত হন রিভা স্টিনক্যাম্প। আদালতের আগের দেওয়া রায়ে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগে পাঁচ বছরের জেলের মধ্যে এক বছর জেল খাটার পর পিস্টোরিয়াস আপাতত গৃহবন্দী। এএফপি।