যে জায়গায় বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা অনুশীলন করেন সেটি কুস্তি ফেডারেশন আজ জোর করে দখল করে নিয়েছে
যে জায়গায় বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা অনুশীলন করেন সেটি কুস্তি ফেডারেশন আজ জোর করে দখল করে নিয়েছে

জিমন্যাস্টিকসে কুস্তির থাবা

ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ের জিমন্যাস্টদের অনুশীলনের একমাত্র ভেন্যু দখলের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পুরোনো ভবনের জিমনেসিয়ামে যে জায়গায় বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা অনুশীলন করেন এবং যেখানে ঘরোয়া প্রতিযোগিতা হয়, সেটি আজ জোর করে দখল করে নিয়েছে কুস্তি ফেডারেশন।

প্যারালাল বার, ব্যালেন্স বিমসহ সরঞ্জাম একপাশে খুলে রাখা হয়েছে

জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এনএসসির জিমনেসিয়ামে এসে পাহলোয়ানের (কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান) লোকজন আমাদের সব সরঞ্জাম খুলে ফেলেছে। প্যারালাল বার, ব্যালেন্স বিমসহ সরঞ্জাম জোর করে একপাশে খুলে রেখে কুস্তির ম্যাট বসিয়েছে। এটা জবরদখল ছাড়া আর কিছু নয়।’

সামনে কমনওয়েলথ গেমস, আছে অন্যান্য খেলাও। দ্রুত অনুশীলন শুরু করতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন চিঠি দিয়েছে কুস্তি ফেডারেশনকে। কিন্তু কুস্তির অনুশীলনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। সে জন্যই এনএসসির পুরোনো জিমনেসিয়ামে কুস্তির ম্যাট বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুস্তি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, ‘পাকিস্তান আমল থেকে অনেক বছর এই জায়গাতেই কুস্তি হতো। আমরা এখানেই করোনার আগপর্যন্ত অনুশীলন করতাম। কিন্তু এখন আমাদের অনুশীলনের জায়গায় নেই। তাহলে আমরা যাব কোথায়?’

জিমনেসিয়ামে কুস্তির ম্যাট বসানো হয়েছে

তাই বলে কারও ভেন্যু দখল করতে হবে, এমন প্রশ্নে মেজবাহ উদ্দিনের জবাব, ‘দখলের কী আছে! অনুশীলনের জায়গা চেয়ে আমরা এসএসসিতে চিঠি দিলেও উত্তর পাইনি। কিন্তু সামনে আমাদের অনেক খেলা। অনুশীলনের জন্য জায়গা দরকার। তবে জিমন্যাস্টিকসের জায়গা দখল করা হয়নি, ওদের সরঞ্জামগুলো একপাশে রাখা হয়েছে, এই যা। জিমন্যাস্টিকস তাদের জায়গাতেই আছে।’

‘তারা আমাদের মালামাল সরিয়ে জিমনেসিয়ামে ঢুকে পড়বে, এটা হতে পারে না। এতগুলো সরঞ্জাম আমরা কোথায় রাখব?’
আহমেদুর রহমান,জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক

কুস্তি ফেডারেশনের এই বক্তব্যের পর জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আরও ক্ষুব্ধ, ‘তারা আমাদের মালামাল সরিয়ে জিমনেসিয়ামে ঢুকে পড়বে, এটা হতে পারে না। এতগুলো সরঞ্জাম আমরা কোথায় রাখব? আমরা চাইলেও এখন প্রতিযোগিতা বা অনুশীলন করতে পারব না। এমন কাণ্ড কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

এ ব্যাপারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। আমি এখন রাজশাহীতে আছি। রোববার অফিস খুললে আমরা বিষয়টি দেখব।’