অলিম্পিক জুডোর ৭৩ কেজি ওজনশ্রেণিতে আলজেরিয়ান জুডোকা ফেথি নুরিনের প্রতিপক্ষ ছিলেন সুদানের মোহামেদ আবদালরাসুল। সে ম্যাচে জিতলে পরের রাউন্ডে নুরিনের প্রতিপক্ষ হতেন ইসরায়েলের তোহার বাটবাল।
ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে টোকিও অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়ানোই শ্রেয় মনে হয়েছে নুরিনের কাছে। এই সিদ্ধান্তের শাস্তি পেলেন নুরিন এবং তাঁর কোচ আমের বেন ইয়াকলিফ। তাঁদের অলিম্পিক থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
আজ আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের (আইজেএফ) নির্বাহী কমিটি জানিয়ে দিয়েছে, নুরিন ও বেন ইয়াকলিফকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জেতা নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা—এই আপ্তবাক্য মানা অলিম্পিকের আরেকটি উদ্দেশ্য আছে। আর সেটা হলো জাতি, ধর্ম, বর্ণের ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেওয়া। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কথা ভেবে নুরিন ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হননি।
আলজেরিয়ান এক টিভিকে নুরিন বলে দেন, ‘অলিম্পিকে আসতে অনেক কষ্ট করেছি, কিন্তু ফিলিস্তিনের বিষয়টি সবকিছুর চেয়ে অনেক বড়।’ নুরিন জানিয়ে দেন, তাঁর এ সিদ্ধান্তই ‘চূড়ান্ত’।
আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন নুরিন ও তাঁর কোচকে নিষিদ্ধ করার পর আলজেরিয়ান অলিম্পিক কমিটি তাদের অ্যাক্রিডিটেশন প্রত্যাহার করে নেয় টোকিও অলিম্পিক থেকে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নুরিন এবং তাঁর কোচ আরও বড় শাস্তি পেতে পারেন।
আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন (আইজেএফ) বিবৃতিতে বলেছে, নুরিনের এই সিদ্ধান্ত তাদের দর্শনের পরিপন্থী, ‘আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের দর্শনের পুরো বিপরীত সিদ্ধান্ত। আইজেএফ সব সময় কড়া বৈষম্যহীন নীতি মেনে চলে। জুডোর মূল্যবোধের মাধ্যমে সংহতি বাড়ানোই মূল লক্ষ্য। এই খেলার অন্যতম মূল ভিত্তি হলো সম্মানবোধ ও বন্ধুত্ব। সিদ্ধান্তটি আমাদের খেলার মূলনীতির পরিপন্থী।’
নুরিনের এভাবে সরে যাওয়া এই প্রথম নয়; ২০১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও বাটবালের সঙ্গে ম্যাচ পড়েছিল নুরিনের। সেবারও নাম কাটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।