এশিয়া কাপের আগেও পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ দেখা হচ্ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে। কিন্তু এশিয়া কাপে ব্যর্থতা এবং নাসিম শাহর চোটের পর বিশ্বকাপ শুরুর আগে কিছুটা ব্যাকফুটেই আছে পাকিস্তানের বোলিং লাইন। বিশ্বকাপের আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটসম্যান ৩৪৫ রান করলেও ম্যাচ জেতাতে পারেনি পাকিস্তানি বোলাররা। সেদিন ৫ উইকেট ও ৩৮ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড।
সেই ম্যাচের পর পাকিস্তানের বোলিং লাইনের সমালোচনা করেছিলেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা। বলেছেন, বিশ্বকাপে বোলাররা এমন নির্বিষ থাকলে জেতার জন্য বাবর–রিজওয়ানদের ৪০০ রান করতে হবে। এবার ভারতের দুই সাবেক ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী ও হরভজন সিংও পাকিস্তানের বোলিংয়ের সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে পাকিস্তানের স্পিন বোলিংয়ের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেছেন তাঁরা।
মুখোমুখি আলাপে পাকিস্তানের বোলিং নিয়ে হরভজনকে শাস্ত্রী বলেন, ‘নাসিম শাহ না থাকায় পাকিস্তানের শক্তি কিছুটা হলেও কমেছে।’ এরপর পাকিস্তানের স্পিন শক্তি কমে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে হরভজনকে শাস্ত্রী আরও বলেছেন, ‘তাদের স্পিনের মান তোমাদের (হরভজনের সময়) যুগের চেয়ে অনেক কমেছে।’
শাস্ত্রীর পর্যবেক্ষণের সঙ্গে এ সময় একমত পোষণ করেছেন হরভজনও। তখন আগের প্রজন্মের স্পিনার সাকলায়েন মোশতাক, সাঈদ আজমল এবং শহীদ আফ্রিদির কথাও মনে করিয়ে দেন হরভজন।
সাবেক এই ভারতীয় এ স্পিনার বলেছেন, ‘অবশ্যই। তাদের তখন সাকলায়েন মুশতাক, সাঈদ আজমল, শহীদ আফ্রিদির মতো স্পিনার ছিল। তারা অনেক বড় মাপের স্পিনার ছিল। শাদাবকে খুব ভালোই মনে হচ্ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সে নিজের সেরাটা দিতে পারছে না। সেভাবে আর উইকেটও নিতে পারছে না। দেখে মনে হচ্ছে ৫০ বা ৬০ রান দিয়ে উইকেট না পেলেও সে খুশি। যখন স্পিনার হিসেবে কারও মানসিকতা এমন হবে, তখন সে আর দলকে ম্যাচ জেতাতে পারবে না। আমার ধারণা তাদের স্পিন আগের মতো নেই যেমনটা এক সময় ছিল।’