কন্ডিশন দেখতে শারজায় ঝটিকা সফরে শ্রীরাম ও মাহমুদ
সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে গেলেন শ্রীধরন শ্রীরাম। ততক্ষণে বাংলাদেশ দলের পাঁচ-ছয়জন ক্রিকেটার দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন।
ম্যাচের আগের দিন ঐচ্ছিক অনুশীলন বলেই দলের সবাই আজ মাঠে আসেননি। কিন্তু শ্রীধরন শ্রীরামের ছুটে যাওয়া দেখে মনে হয়েছে, অনুশীলনে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতেই দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টের এত ব্যস্ততা।
শ্রীরামের ব্যস্ততার ভিন্ন কারণ জানা গেল পরে। তিনি যাবেন শারজায়, এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের ভেন্যু। তাঁর সঙ্গী বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। দুজনে মিলে শারজার কন্ডিশন স্বচক্ষে দেখে আসবেন। আগামীকালই শারজার ছোট্ট সীমানার মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ এবারের এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ দল এসেছে প্রায় এক সপ্তাহ। এখন পর্যন্ত তিনটি অনুশীলন সেশন হয়েছে, তিনটিই দুবাইতে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দল এক দিনও শারজায় অনুশীলন করেনি। সেখানকার কন্ডিশন কেমন হবে বছরের এ সময়ে, সেটি বুঝতেই শ্রীরাম ও মাহমুদের এই ঝটিকা সফর।
শারজার গাড়ি ধরার আগে সংবাদ সম্মেলনে সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে প্রশ্নের মুখোমুখি হন শ্রীরাম। খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর শারজার অভিজ্ঞতা আছে।
আইপিএলের দল ও অস্ট্রেলিয়ার কোচ হয়েও শারজার কন্ডিশন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেসব অভিজ্ঞতার কথা টেনেই শ্রীরাম বলছিলেন, ‘আমরা কোন ধরনের খেলা খেলতে চাই, সে ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা আছে। শারজায় আগেও অনেকবার খেলেছি, আমরা জানি সেখানে কী প্রত্যাশা করা যায়। আর শারজায় অনুশীলন না থাকায় ভালোই হয়েছে। সেখানকার অনুশীলনের ব্যবস্থা খুব একটা সুবিধার না। এখানে দারুণ ব্যবস্থা। ফলে আমরা খুশি।’
শারজায় কোন ধরনের ক্রিকেট খেলতে হবে, সে ছকও নাকি এর মধ্যে আঁকা হয়ে গেছে। শ্রীরাম বলছিলেন, ‘এটা নিজেদের ভূমিকা সম্বন্ধে পরিষ্কার থাকার ব্যাপার। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে সবার সঙ্গে যোগাযোগটা ঠিক রেখে পরিষ্কার থাকা, সবার কাছ থেকে কী চাই। খেলোয়াড়দের নিজেদের ভূমিকা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা আছে। সেখানে যাওয়ার পর আমরা কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করে এবং হয়তো ঠিক সিদ্ধান্তটাই নেব।’