ম্যাথুসের উইকেটের পর পাকিস্তানের উল্লাস
ম্যাথুসের উইকেটের পর পাকিস্তানের উল্লাস

ম্যাথুসের বিতর্কিত আউটের দিনে এগিয়ে শ্রীলঙ্কাই

মাথা নাড়াতে নাড়াতে মাঠ ছাড়লেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কেন তাঁকে আউট দেওয়া হলো, বুঝতেই পারছিলেন না যেন। নিজের শততম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আগা সালমানের বলে ম্যাথুসের বিতর্কিত আউট গল টেস্টের রোমাঞ্চেরই আরেকটি ধাপ বলতে পারেন।

আলোকস্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা আগেভাগেই খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ৫ উইকেট হাতে রেখে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ১৭৬ রান। স্বাগতিকদের লিড এখন ৩২৩ রানের। অবশ্য প্রথম টেস্টেই পাকিস্তান জিতেছে ৩৪১ রান তাড়া করে, সেদিক থেকে এখনোই নিজেদের নিরাপদ না ভাবারই কথা শ্রীলঙ্কার। তবে ক্রিজে থাকা দিমুথ করুনারত্নে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ভালো শুরু পেয়েছেন, দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৫৯ রানে। করুনারত্নে অপরাজিত ২৭ রান করে, ডি সিলভার রান ৩০।

শততম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়ে ফিরছেন ম্যাথুস

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৩১ রানে আটকে দেওয়ার পর শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা খুব দৃঢ় ছিল না। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের কেউই ২০ রান পেরোতে পারেননি। আগের দিন চোটের কারণে ফিল্ডিং করতে না পারায় ইনিংস উদ্বোধন করতে আসতে পারেননি অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে, ওশাদা ফার্নান্ডোর সঙ্গে নামেন নিরোশান ডিকভেলা। তাঁকে ফিরিয়েই পাকিস্তানকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসিম শাহ, অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে খোঁচা দেন ডিকভেলা।

ফার্নান্ডো ও কুশল মেন্ডিস—দুজনই হন এলবিডব্লু। ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই ফার্নান্ডোকে ফেরান ইয়াসির শাহ। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে মেন্ডিস তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার সময় লঙ্কানদের রান ছিল ৫৯। দীনেশ চান্ডিমাল ও ম্যাথুসের ৪১ রানের জুটি আসে এরপর। এরপরই আসে ম্যাথুসের বিতর্কিত ওই আউট, চা-বিরতির মিনিট দশেক আগে।

তখন পর্যন্ত বেশ দৃঢ় থাকা ম্যাথুস ডিফেন্ড করতে গিয়েছিলেন সালমানের বলটি। পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দেননি অন ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। তবে রিভিউয়ে আল্ট্রা এজে খুবই সূক্ষ্ম স্পাইক দেখে ধর্মসেনার সিদ্ধান্ত বদলান টিভি আম্পায়ার মারাই এরাসমাস। ৬২ বলে ৩৫ রান করেই ফিরতে হয় ম্যাথুসকে। ১০০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

৫ উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস

চা-বিরতির পরপরই ফেরেন চান্ডিমালও। নাসিমের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়েন ২১ রান করে। ৫ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার লিড তখন ২৬৪ রান। ছয়ে আসা করুনারত্নে ও সাতে নামা ডি সিলভা অবশ্য লিডকে নিয়ে যান ৩০০-এর ওপারে। শেষ সেশনে পানি পানের বিরতির পরপরই আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। এরপর আর শুরু হয়নি খেলা।

এর আগে সকালে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান যোগ করে আর ৪১ রান। আগের দিন অপরাজিত ইয়াসির শাহর সঙ্গে জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে কিছুক্ষণ হতাশ করেন হাসান আলী, ২১ রান করে প্রবাত জয়াসুরিয়ার বলে বোল্ড হওয়ার আগে। ২৬ রান করা ইয়াসির ও নোমান আলীকে ফেরান রমেশ মেন্ডিস। তাতেই ১০ টেস্টের ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট হয়ে যায় তাঁর। তিনি খরচ করেন ৪৭ রান। প্রবাত জয়াসুরিয়া ৮০ রানে নেন ৩ উইকেট।