আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার আগেই আলোচিত এক নাম হয়ে উঠেছেন শোয়েব বশির; যদিও এতে তাঁর কোনো অবদান নেই। ভিসা সমস্যায় তাঁর নামটা আলোচনায় এসেছে। প্রায় দেড় মাস আগে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও ভারত সফরে যেতে পারছিলেন না ইংল্যান্ড দলে প্রথমবার ডাক পাওয়া স্পিনার বশির।
আবুধাবিতে ক্যাম্প শেষে ইংল্যান্ড দল ভারতে গেলেও ভিসা না পাওয়ায় বশিরকে ফিরতে হয়েছিল দেশে। এ নিয়ে ইংল্যান্ডে তীব্র প্রতিক্রিয়া হলে শেষ পর্যন্ত কাল তাঁকে ভারতের ভিসা দেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহেই ভারতে দলের সঙ্গে বশির যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে এ বিষয়ে ভুলটা ইংল্যান্ডের বলেই মনে করেন ভারতের সাবেক পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রসাদ লিখেছেন, ‘ওর ভিসায় যুক্তরাজ্যেই ছাপ দেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ইসিবি শোয়েব বশিরকে পাঠিয়েছিল আরব আমিরাতে; ভেবেছিল তৃতীয় কোনো দেশেই এটা করা হবে। মৌলিক বিষয়াদি অনুসরণ না করে কোনো কিছু আন্দাজ করে নেওয়া এবং পরে এ নিয়ে অভিযোগ করা ইংল্যান্ডের পুরোনো কৌশল। ভুল কারও হয়ে থাকলে সেটা ইসিবির।’
হায়দরাবাদে আজ ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে প্রথম টেস্ট শুরু হয়েছে। এই টেস্টে অভিষেক হওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল বশিরের। তবে ভিসা দেরিতে পাওয়ায় অপেক্ষা বাড়ল। এর আগে বশিরের ভিসা প্রসঙ্গ হয়ে উঠেছিল ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। বিষয়টি ব্রিটিশ সরকার পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ম্যাচের আগের দিন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসও সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দুঃখ প্রকাশ করেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও।
সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস বলেছিলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্য এটি খুবই হতাশার। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা দল ঘোষণা করেছি। এত দিনে এসে ব্যাশ (বশির) জানতে পারছে যে ও ভারতের ভিসা পায়নি। ইংল্যান্ড দলে প্রথম সুযোগ পাওয়া কারও জন্য এমন অভিজ্ঞতা কাম্য নয়। ওর জন্য খারাপ লাগছে। বুঝতে পারছি ও কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
রোহিত বলেছেন, ‘সত্যি বলছি ওর জন্য খারাপ লাগছে। সম্ভবত সে ইংল্যান্ড দলে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি ভিসা অফিসে কাজ করি না। তাই এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে আমার আশা যত দ্রুত সম্ভব, সে এখানে আসতে পারবে, আমাদের দেশ উপভোগ করবে এবং খেলারও সুযোগ পাবে।’