পাকিস্তান দলের বাইরে থাকার পরও গত মাসে আবার খবরের শিরোনামে আসেন শেহজাদ
পাকিস্তান দলের বাইরে থাকার পরও গত মাসে আবার খবরের শিরোনামে আসেন শেহজাদ

ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে আমার হাতাহাতি হয়নি

গত কয়েক বছরে পাকিস্তান দলে অনেক রদবদল হয়েছে। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে। ২০১৯ সাল থেকে চলা এই পরিবর্তনের জোয়ারে বাবর আজমের কাছে নেতৃত্ব হারিয়েছেন সরফরাজ আহমেদ। সরফরাজ তো দল থেকেই বাদ পড়েছেন। তাঁর জায়গায় উইকেটকিপার হিসেবে নেওয়া হয়েছে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। সরফরাজের মতো আরও অনেকেই পাকিস্তান দলে জায়গা হারিয়েছেন। এঁদের মধ্যে একজন ওপেনার আহমেদ শেহজাদ।

৩০ বছর বয়সী শেহজাদ পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৯ সালের অক্টোবরে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। পাকিস্তান দলের বাইরে থাকার পরও গত মাসে আবার খবরের শিরোনামে আসেন শেহজাদ। তাঁর বিষয়ে দলের সাবেক প্রধান কোচ ওয়াকার ইউনিস পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। গত মাসে সেই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আনার জন্য পিসিবিকে বলেন শেহজাদ।

সেই সময় পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল, কোনো একটি বিষয় নিয়ে ওয়াকারের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল তাঁর। একপর্যায়ে নাকি দুজনের হাতাহাতিও হয়েছিল। সম্প্রতি এ বিষয়ে পাকিস্তানের সামা টিভিকে শেহজাদ বলেছেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেইনি।

পাকিস্তানের সাবেক কোচ ওয়াকার ইউনিস

সামা টিভিকে শেহজাদ বলেন, ‘আমি আমার বিষয়ে অনেক কিছু শুনেছি। আমাকে সংবাদমাধ্যমের সেই সব খবরে কান না দিয়ে শুধু ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে বলা হয়েছিল। আমারও শুধু একটাই লক্ষ্য ছিল—দেশকে গর্বিত করা। আমি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার মতো কোনো ঘটনা ঘটাইনি।’

একটা সময়ে প্রতিশ্রুতিশীল একজন ব্যাটসম্যান হিসেবেই আবির্ভাব হয়েছিল শেহজাদের। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার। শেহজাদ অবশ্য বলছেন, ‘আমার সম্পর্কে কিছুই গোপন রাখা হয়নি। সংবাদমাধ্যমই এটা নিশ্চিত করেছে। আমাকে নিয়ে এমনও শিরোনাম হয়েছে যে আমি ওয়াকার ইউনিসকে মেরেছি, তিনিও আমাকে মেরেছেন।’

শেহজাদ এরপর যোগ করেন, ‘আমি যদি কখনো ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নষ্ট করে থাকি, মানুষের সেটা জানা উচিত। ড্রেসিংরুমে সব সময়ই আমার সতেজ ও সরব উপস্থিতি ছিল। আমি সব সময়ই দলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আপনি শিরোনাম তৈরি করবেন কি না, সেটা আপনার ওপরই নির্ভর করে।’