নতুন বল হাতে নিয়ে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের সম্ভাব্য দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান ও জাকির হাসানকে বল করছিলেন তাসকিন আহমেদ। শুরুর কয়েকটি বল দেখেই মনে হচ্ছিল, বোলিং করতে বেশ কষ্টই হচ্ছে কদিন আগে চোট থেকে ফেরা এই পেসারের। পরে সময় যত গড়িয়েছে, ততই চেনা ছন্দে ফিরেছেন তাসকিন।
কিছুক্ষণ পর মাঠের আরেক প্রান্ত থেকে হেঁটে তাসকিনের পাশে এসে দাঁড়ালেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। সেখানে ছিলেন টেস্ট দলের আরেক পেসার খালেদ আহমেদও। এরপর দুজনকে ফ্ল্যাট উইকেটে বোলিংয়ের টোটকা দিলেন পেস বোলিং কোচ। চট্টগ্রামে যে ব্যাটিং-স্বর্গই অপেক্ষা করছে, সে প্রস্তুতিটাই নিতে বলছিলেন জাতীয় দলের দুই পেসারকে।
অনুশীলন যাওয়ার আগে তাসকিনও সংবাদ সম্মেলনে এসে বলছিলেন চট্টগ্রামের উইকেটে বোলিং কৌশলের কথা, ‘উইকেটে যেহেতু তেমন কিছু থাকবে না, বেসিক জিনিসটাই ঠিক রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেখা গেছে আমাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে। বল পুরোনো হলে রিভার্স সুইংয়ের চেষ্টা করতে হবে। আমরা ডিসিপ্লিন আর ধৈর্য নিয়ে বল করলে ভালো করার সম্ভাবনা আছে।’
এই উইকেটেই দুদিন আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ৪০৯ রান করেছে ভারত। টেস্ট ম্যাচে রানের পাহাড় কত উঁচুতে উঠবে, কে জানে! তারকায় ঠাসা ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে তাসকিনদের পরিকল্পনা কী হওয়া উচিত, সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘একই কৌশল, টপ অব অফ। টপ অব অফ ধৈর্য নিয়ে যদি বল করতে পারি, তাহলে ভালো ফল আসতে পারে। ভালো উইকেটে বেশি উইকেট পেতে যদি জোরাজুরি করতে যাই, তাহলে রান হবে। ওরা ভালো খেলোয়াড়। আমরা যদি জায়গা নিয়ে বল করে ওদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে পারি, তাহলে ভালো হবে।’
তাসকিন আরও যোগ করেন, ‘নতুন বলে আর্লি একটু সুইং করানোর চেষ্টা করতে হবে। পুরোনো বলে রিভার্স সুইং। এতে কোনো সন্দেহই নেই ওদের পরিসংখ্যান অনেক ভালো। ওরা বিশ্বে অনেক বড় খেলোয়াড়। কিন্তু আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে। বিশেষ করে বোলিং বিভাগকে। ধারাবাহিক থাকতে হবে, ওদের ভুলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদি বলি, ছিঁড়ে ফেলব, ফাটিয়ে ফেলব—এটা বললে ভুল হবে।’
তবু কঠিন বোলিং কন্ডিশনে দাপট দেখানোর স্বপ্নও দেখছেন তাসকিন। তিনি নিজেই বলছিলেন, ‘বড় বোলার তারাই, যারা ফ্ল্যাট উইকেটেও পাঁচ উইকেট পায়। ওটা চিন্তা না করে নিজেদের উন্নতিতে মনোযোগ দিলে ভালো হবে।’