রানখরায় ভোগা ভারতের বিরাট কোহলিকে নিয়ে যখন ‘পারবেন কি পারবেন না’ কৌতূহল, তখন পাকিস্তানের বাবর আজমকে নিয়ে চারদিকে বিপুল আশার স্ফুরণ।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে প্রতিদিনই প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকেরা। ফর্মের তুঙ্গে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ককে আউট করতে বোলারদের কী করা দরকার, এমন জিজ্ঞাসাও অনেকের।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিসের মতে, গতানুগতিক ধারায় বাবরকে আউট করা কঠিন। আর সেটি তাঁর ব্যাটিং ছন্দের কারণে, ‘আমি নিশ্চিত নই যে ওকে কীভাবে আউট করা যায়। আশপাশে এখন যারা আছে, তাদের মধ্যে সে-ই নাম্বার ওয়ান। যেটা সাধারণত করা হয়, তাকে সিঙ্গেল নিতে দিয়ে নন-স্ট্রাইকে পাঠিয়ে দেওয়া। এটা কিন্তু নতুন কিছু নয়। দু-তিন দশক ধরেই ভালো ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে এ রকম ঘটছে। বাবর আজমও এই কৌশলের সঙ্গে পরিচিত। এটি ওর ক্ষেত্রে কাজে দেবে কি না, আমি জানি না।’
তাহলে বাবরকে আউট করতে কী করতে হবে? ২০১১ সালে অবসরের আগে ক্রিকেটের তিন সংস্করণে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি রান করেছেন স্টাইরিস, আছে ১৭৭টি উইকেটও। ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই ভালো দক্ষতা থাকায় ক্রিকেটের এ দুটি দিক থেকে বাবরকে পর্যবেক্ষণ করেছেন স্টাইরিস, ‘আমার মনে হয়, বোলারকে এ ক্ষেত্রে কিছুটা সাহস দেখাতে হবে। একটু ঝুঁকি নিতে হবে। এমন কোনো জাদুকরি ডেলিভারি, যেটা করতে গেলে ভয় লাগে যে একটু ভুল হলেই তো মাঠের ওপারে আছড়ে ফেলবে। এ রকম বিশেষ ডেলিভারি দেওয়ার ঝুঁকিটা নিতে হবে। সে এখন যে মাপের ব্যাটসম্যান, এটাই হতে পারে সম্ভাব্য সেরা কৌশল।’
চলতি বছরে ৮টি ওয়ানডে খেলে ৮৪ গড়ে ৫৮৮ রান করেছেন বাবর, যার মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সাতটিতেই ৫০ পার করেছেন। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মোটে একটি—এপ্রিলে লাহোরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচ করেছিলেন ৬৬ রান।
সামনেই এশিয়া কাপ। ২৮ আগস্ট বাবরের প্রথম প্রতিপক্ষ কোহলিদের ভারত। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ভারতের বিপক্ষে ৬৮ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন বাবর। এবারও তাঁকে ঘিরে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আশায় পাকিস্তান।