সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা

নিগারের চাওয়া পূরণ হলো, কিন্তু তাতেও কিছু হলো না

টসের সময় অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছিলেন, ভারতকে ১৫০ রানের মধ্যে আটকাতে পারলে খুশি হবেন তাঁরা। তবে ভারতের ব্যাটিং-শক্তি এমন, অমন স্কোরের মধ্যে আটকে রাখতে গেলে দরকার দ্রুত উইকেট।

ক্যাচ মিস না হলে দ্রুত উইকেট ঠিকই পেত বাংলাদেশ। এরপরও নিগারের চাওয়া পূরণ হয়েছে ঠিকই—সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারত থেমেছে ১৪৬ রানে। কিন্তু সে চাওয়া পূরণ হলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক ম্যাচ শেষে হাসতে পারছেন না। ব্যাটিং-ব্যর্থতার পুরোনো ভূত যে তাড়া করে ফিরছে এখনো।

হারের কারণ হিসেবেও নিগার বললেন সেটিই, ‘পাওয়ারপ্লেতে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, তাতে কিছু হয়নি। ১৪০-এর বেশি তাড়া করতে গেলে পাওয়ারপ্লেতে রান দরকার। টপ অর্ডার রান পাচ্ছে না। আমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। আমাদের ব্যাটিং বিভাগ বেশ ভালো, তবে ব্যাটাররা মনে হয় শতভাগ দিতে পারছে না।’

টসের সময় ভারতকে ১৫০ রানের মধ্যে আটকে রাখার কথা বলেছিলেন নিগার

এ ম্যাচ থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজতে গিয়ে নিগার বলেন শেষ ৫ ওভারের বোলিংয়ের কথা। ওই সময়ে ৩৫ রান দিয়েছে বাংলাদেশ, নিয়েছে ৩ উইকেট। নিগারের মতে, ‘যেভাবে শুরু করেছিল, ১৫০-এর বেশি হবে বলে মনে হচ্ছিল। যেভাবে আমাদের বোলাররা বিশেষ করে শেষ ৫ ওভারে বোলিং করেছে, আমার মনে হয়, দারুণ ছিল।’

ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে দিনে বাংলাদেশের সেরা বোলার লেগ স্পিনার রাবেয়া খানের কণ্ঠেও টপ অর্ডার নিয়ে হতাশা, ‘বোলাররা গত ছয় মাস ধরেই কাজটা করছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাটাররা…টপ অর্ডারের কয়েকজন যদি দাঁড়াতে পারত, আমরা ম্যাচটা হয়তো ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম। অথবা আরেকটু ক্লোজ হতো।’

উইকেট ভালো ছিল, সেটি বলছে দুই পক্ষই। ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের মতে, সংগ্রহটা যথেষ্ট ছিল না তাঁদের। রাবেয়া বলছেন, এমন উইকেটে এই রান তাড়া করার মতোই, যদিও এর আগে একবারই এত রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের দিকে উইকেট আরও ভালো হয়েছিল বলেও মনে করেন ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা যস্তিকা ভাটিয়া, ‘উইকেট বেশ ভালো ছিল। দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’

ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে নিগারের ফিফটি বৃথা গেছে

ভারত ম্যাচের মাঝপথেই বুঝেছে, এমন উইকেটে পার্থক্য গড়ার সুযোগ ফিল্ডিংয়ে। ম্যাচের মাঝপথে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে যস্তিকা বলেন, ‘পরিকল্পনা সরল ছিল। আমাদের ভালো লাইন-লেংথে বোলিং করতে হবে এবং ফিল্ডিং ভালো করতে হবে। আসলে আমরা এই ব্যাপার নিয়ে কথাও বলেছি, ফিল্ডিংই পার্থক্য গড়ে দেবে। এর ফলে ওই ১০-১৫ রান বাঁচানো বেশ কাজে দিয়েছে।’

শুরুর দিকে বাংলাদেশের ফিল্ডিংও ছিল আলোচনায়। পাওয়ারপ্লেতেই দুটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ, সেগুলো নিতে পারলে ভারতকে আটকাতে পারত আরেকটু কমের মধ্যে। কিন্তু দিন শেষে ব্যাটিং-ব্যর্থতা এমন হয়ে উঠেছে, ওই দুই ক্যাচ হাতছাড়া করার ব্যাপারটিও যেন চলে গেছে আড়ালে।