বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বহু বছর । সর্বশেষ বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন । কিন্তু এসব পরিচয় ছাপিয়ে রফিকুল ইসলাম ওঠেন ক্রীড়াঙ্গনে নিবেদিতপ্রাণ এক সংগঠক। টিপু নামে সবার কাছে পরিচিত এই ক্রীড়া সংগঠক হঠাৎ করেই আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই সংগঠক। বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সত্তর দশকে টেবিল টেনিসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম টিপু। এক সময় বাংলাদেশ টিটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকও হয়েছেন। টিটি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ কারেন বলছিলেন. ‘ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেবার আমি সর্বশেষ টিটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলাম। আমার পর ২০০০ সাল থেকে দুই মেয়াদে টিপু সাধারণ সম্পাদক হয়েছে। তার মতো এত ভালো সংগঠক কমই এসেছে। কতজনই জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছে বা পেয়েছে, কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনের জন্য সারা জীবন কাজ করেও টিপু কোনো স্বীকৃতি পেল না। এটা দুঃখজনক। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
বাংলাদেশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গেমসে অ্যাক্রেডিটেশন কমিটির সদস্য হিসেবে রফিকুল ইসলাম কাজ করেছেন লম্বা একটা সময়। ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিল তাঁর দারুণ সখ্য। বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থায় (বিএসজেএ) প্রায় প্রতিদিনই দিনের একটা সময় কাটাতেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে ক্রীড়া সাংবাদিক মহলও শোকাহত।
রফিকুল ইসলাম টিপু গতকাল সোমবার সকালে নিজ বাসায় মাথা ঘুরে পড়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সিটি স্ক্যানে রিপোর্ট ভালো আসেনি। তখনই ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, অবস্থা ভালো নয়।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামস্থ শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে তাঁর নামাজে জানাজা হবে।
রফিকুল ইসলাম টিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন।