এবারের বিপিএলে ব্যাটিংয়ে ১৯২.৪০ স্ট্রাইক রেট সাকিবের
এবারের বিপিএলে ব্যাটিংয়ে ১৯২.৪০ স্ট্রাইক রেট সাকিবের

ব্যাট হাতে সেরা সময় সাকিবের

এটা সাকিব আল হাসান তো!

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাট হাতে দারুণ ধারাবাহিক সাকিবকে দেখে যে কেউ বিস্মিত হতেই পারেন। সেটি অবশ্য হওয়ারই কথা। পরিসংখ্যান যে বলছে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে সেরা সময়ই কাটাচ্ছেন সাকিব।

ফরচুন বরিশালের হয়ে সাত ম্যাচে ছয়বার ব্যাটিং করে ৩০৪ রান করেছেন টেস্ট ও ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়ক। ৩৯০ ম্যাচের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ইনিংসটা এবারই খেলেছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং–গড়টা মুখ্য নয়, তবু এই অলরাউন্ডারের গড়টা দুর্দান্ত—৭৬.০০। বিপিএলে এক মৌসুমে সাকিবের আগের সর্বোচ্চ গড় ৪০.০০। সেটিও ২০১১-১২ মৌসুমে বিপিএলের প্রথম আসরে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের হয়ে।

টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের কার্যকারিতা মাপার সবচেয়ে বড় যে মানদণ্ড, সেই স্ট্রাইক রেটের হিসাবেও ঝলমল করছে সাকিবের নাম। এবারের বিপিএলে ব্যাটিংয়ে ১৯২.৪০ স্ট্রাইক রেট তাঁর। একাধিক ইনিংসে ব্যাট করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। সাকিবের সবচেয়ে কাছে থাকা তাঁর বরিশাল-সতীর্থ ইফতিখার আহমেদের স্ট্রাইক রেট ১৭৭.২৭। আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টির এক নম্বর অলরাউন্ডারের বিপিএল স্ট্রাইক রেট এর আগে ১৫০ ছাড়িয়েছিল মাত্র একবারই। ২০১২-১৩ মৌসুমে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে ১৬৪.৫০ গড়ে ৩২৯ রান করেছিলেন সাকিব।

বিপিএলে খেলা আট মৌসুমে ওইবারই সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন সাকিব। সেই মৌসুমে ১২ ইনিংস ব্যাটিং করা সাকিব এবার ৬ ইনিংসেই করে ফেলেছেন ৩০৪ রান। শুধু বিপিএলই নয়, সাকিব সব টুর্নামেন্ট মিলিয়েই মাত্র দ্বিতীয়বার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ ছাড়ালেন।

শুধু একটি টুর্নামেন্টেই অবশ্য নয়, সাকিব স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেই ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন ব্যাট হাতে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এ পর্যন্ত ৩৯০ ম্যাচে ৩৫৯ ইনিংস ব্যাট করেছেন। তাঁর ক্যারিয়ারকে ৩০ ইনিংস করে ভাগ করলে সর্বশেষ ভাগেই সবচেয়ে ভালো কেটেছে সাকিবের। বিপিএলের গত মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিসহ সর্বশেষ ২৯ ইনিংসে সাকিব রান করেছেন ৭৫৫। সাকিব এর আগে ৩০ ইনিংসের একটি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৬৯১ রান করেছিলেন (২০১২ ও ২০১৩ মিলিয়ে)।

সর্বশেষ ২৯ ইনিংসে তাঁর ফিফটি সাতটি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রায় চার ভাগের এক ভাগই এই পর্যায়ে পেলেন সাকিব। এর আগে ৩০ ইনিংসের একটি পর্যায়ে সর্বোচ্চ চারটি ফিফটি ছিল তাঁর (২০১৮ ও ২০১৯ মিলিয়ে)।

সর্বশেষ পর্যায়ের সঙ্গে আগের পর্যায়ের শেষ চারটি ইনিংস যোগ করলেন আরও ঝলমলে হয়ে সাকিবের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান। ২৯ যোগ ৪—এই ৩৩ ইনিংসে ১০ বার ৫০ ছুঁয়েছেন সাকিব। অর্থাৎ ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি ৩.২ ইনিংসে একবার ফিফটি পেয়েছেন তিনি। এই সময়ে ১৩ বার ৩০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন সাকিব।

ব্যাট হাতে সাকিবের মধুচন্দ্রিমাই তো দেখতে চায় বাংলাদেশ।