চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেটে ৩৫০ রানই যথেষ্ট ভালো মনে করছেন ভারত ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারা। প্রথম দিন দু–একটি উইকেট বেশি পড়ার আক্ষেপ আছে তাঁর। আর প্রথম দিনই ভারতকে অলআউট করে দেওয়া সম্ভব ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তবে এ উইকেট সামনের দিনগুলোতে কেমন আচরণ করবে, সে ব্যাপারে ঠিক নিশ্চিত নন তাইজুলরা।
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে এখানেই ভারত তুলেছিল ৪০৯ রান। চট্টগ্রামের উইকেট সাধারণত রানপ্রসবাই হয়। তবে এ টেস্টের উইকেট প্রথম দিন থেকে মন্থরগতির হলেও ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিতে ফেলছে অসম বাউন্স। প্রায় শুরু থেকেই বল নামছিল বেশ নিচে। পরে টার্নের দেখাও পেয়েছেন তাইজুলরা।
দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৮২ রানের স্কোরকে আদর্শ মনে না করলেও খুব একটা অখুশি নন পূজারা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘এ পিচে আমাদের আসলে ভালো একটা স্কোরই হয়েছে। ৪-৫ উইকেট গেলে আসলে আরও ভালো হতো। এ পিচে ৩৫০ রান ভালোই হবে। আমরা দেখেছি, স্পিনারদের জন্য টার্ন আছে। আমাদের দলেও তিনজন স্পিনার আছে। পেসারদের বোলিংয়ের সময়ও কিছু কিছু বল নিচু হচ্ছিল। এ পিচে ব্যাটিং করা সহজ নয়। আশা করি, আমাদের বোলাররা কাজটি শেষ করতে পারবে।’
এ পিচে ব্যাটিং সময়ের সঙ্গে আরও কঠিন হবে বলেই মনে করেন ৯০ রান করা এই ব্যাটসম্যান, ‘হয়তো পুরোনো বলে একটু সহজ, বোলাররাও ক্লান্ত হয়। একই জায়গায় টানা করতে পারে না। ব্যাটার হিসেবে আমরা জানি, কুকাবুরা বলে প্রথম ২০-৩০ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে পর্যায়টা পেরোতে পারলে একটু সহজ হয়ে আসে। (তবে) এমন উইকেটে আপনি কখনোই থিতু হবেন না, দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। ব্যাটসম্যান হিসেবে নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই। ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। আমার মনে হয়, সময়ের সঙ্গে ব্যাটিং আরও কঠিন হবে।’
পূজারার কথাই ঠিক হলে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন এক সময়ই অপেক্ষা করছে। সে ক্ষেত্রে প্রথম দিনই ভারতকে আরও কম রানের মধ্যে আটকে রাখার মাশুলও দিতে হতে পারে। ক্যাচ হাতছাড়া করা, রিভিউর সুযোগ না নেওয়ার সঙ্গে স্টাম্পে বল লাগার পরও বেল না পড়ার দুর্ভাগ্যও সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের।
তাইজুল মানছেন, সুযোগগুলো নিতে পারলে প্রথম দিনই ভারতকে অলআউট করতে পারত বাংলাদেশ, ‘আমিও এটার সঙ্গে একমত। এটা বলতে পারেন। হয়তো আমরা দেখা যাচ্ছে যে ১০-১৫ ওভার থাকতে ৫-৬টি পড়ে যেত। আমরা সুযোগগুলো নিতে পারতাম। তখন অলআউট করা সম্ভব ছিল। অসম্ভব ছিল না, সেটা বলতে পারেন।’
বোলিং দল হিসেবে অবশ্য এখনো উইকেট কেমন করবে, সেটি বলতে পারেননি তাইজুল, ‘বিগত দু-তিন বছরের রেকর্ড দেখলে দেখবেন, দিন দিন এখানকার উইকেট ভালো হয়। তবে এটা কেমন হবে, বোঝা যাচ্ছে না। মানে কীভাবে কী হবে, সেই অনুমান করা যাচ্ছে না। তারপরও দেখা যাক। এখনই যে বড় বড় টার্ন করেছে বা অনেক বল ভেতরে ঢুকছে, এমন নয়। সময় লাগবে হয়তোবা।’
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ স্বস্তির জায়গাতেই আছে বলেও মনে করেন তাইজুল, ‘খুব যে খারাপ অবস্থানে আছি, তা নয়। প্রথম দিন হিসেবে ভালো অবস্থানে আছি। তবে ক্যাচগুলো নিতে পারলে হয়তো আরও ভালো জায়গায় থাকতে পারতাম।’