ইন্টার মায়ামিতে আসার এক মাসের মধ্যে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ম্যাচ সমতায় থাকার পর ম্যারাথন টাইব্রেকারে ন্যাশভিলকে ১০-৯ গোলে হারায় ইন্টার মায়ামি।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ ফাইনালেও টাইব্রেকারে গিয়ে জিতেছিল মেসির আর্জেন্টিনা। এর আগে ফাইনালে টাইব্রেকার-ভাগ্য ভালো ছিল না মেসির। তাঁর ক্যারিয়ারে টাইব্রেকারে হারের একাধিক হতাশাজনক ঘটনাও ছিল । কিন্তু সময়টা এখন পুরোপুরি বদলে গেছে। জাতীয় দল-ক্লাব সব জায়গাতেই টাইব্রেকারে দারুণ সাফল্য পাচ্ছেন মেসি।
লিগস কাপের ফাইনালসহ মেসি তাঁর ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৪২টি ফাইনাল খেলেছেন। যেখানে রোববারের ফাইনালের আগে মাত্র তিনবার মেসিকে শিরোপা নির্ধারণের জন্য পেনাল্টি শুটআউটে যেতে হয়েছিল। তবে এর কোনোটিই ক্লাবের হয়ে ছিল না।
মেসির যে ফাইনালগুলো টাইব্রেকারে গেছে তার সবগুলোই ছিল জাতীয় দলের হয়ে। যেখানে প্রথম দুটিতেই হার দেখেছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। সেই দুটিই ছিল মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা কোপা আমেরিকা ফাইনাল। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের সেই দুই ফাইনালের দুটিতেই চিলির কাছে হেরে গিয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনা। এমনকি ২০১৬ সালের শতবর্ষীয় কোপা আমেরিকা ফাইনালে হেরে অবসর ঘোষণা করে রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন মেসি। বলা বাহুল্য, পরে সেই অবসর ভেঙে ঠিকই ফিরে এসেছিলেন ‘এলএম টেন’ এবং পরে গড়েছেন ইতিহাসও।
টাইব্রেকারে প্রথম দুটি ফাইনালে হারের পর মেসি টাইব্রেকে যাওয়া তৃতীয় ফাইনালটি খেলেছিলেন ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বরে। লুসাইলের সেই ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচ ড্র থাকে ৩-৩ গোলে। পরে পেনাল্টি শুটআউটে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা পুনরুদ্ধার করে আর্জেন্টিনা।
এরপর মেসি নিজের ক্যারিয়ারে টাইব্রেকারে যাওয়া চতুর্থ ফাইনালটি খেলেছেন গতকাল লিগস কাপে। যেখানে মেসির গোলে ইন্টার মায়ামি এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে ন্যাশভিল। টাইব্রেকারেও মেসির গোলে শুরুতে এগিয়ে যায় মায়ামি। কিন্তু প্রথম ৫ শটে দুই দলই একটি করে মিস করে। এরপর সাডেন ডেথে শুরু হয় ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউট। যেখানে শেষ পর্যন্ত ১০-৯ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় মেসির ইন্টার মায়ামি।