মাদ্রিদের সঙ্গে তাঁর নাড়ির সম্পর্ক। স্পেনের রাজধানী শহরেই জন্ম তাঁর। মাদ্রিদের সঙ্গে রাউল গঞ্জালেসের সম্পর্কটা নাড়ির হলে রিয়ালের সঙ্গে আত্মার। সান ক্রিস্তোবালে ফুটবলের হাতেখড়ি হওয়ার পর দুই বছর আতলেতিকো মাদ্রিদের যুব দলে কাটিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখান রাউল। রিয়ালের যুব দলে দুই বছর কাটিয়ে তাঁর অভিষেক হয় ‘সি’ দলে। এরপর ‘বি’ দল হয়ে রিয়ালের মূল দলে আবির্ভাব রাউলের।
১৯৯৪ থেকে ২০১০—এই ১৬ বছর রিয়ালে খেলার পর চলে যান জার্মানির ক্লাব শালকে জিরো ফোরে। সেখান থেকে আল সাদ ও নিউইয়র্ক কসমস হয়ে আবার রাউল আবার রিয়ালে ফেরেন ২০১৮ সালে।
এবার খেলোয়াড় হিসেবে নয়, রিয়ালের যুব দলের কোচের দায়িত্ব নিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফেরেন রাউল। এক মৌসুম যুব দলের ডাগআউট সামলানোর পর ‘বি’ দলের দায়িত্ব পান রিয়ালের সাবেক অধিনায়ক। এরপর ২০২০ সাল থেকে তিনি রিয়াল কাস্তিয়ার কোচ।
রাউলের অধীন প্রথম মৌসুমে উয়েফা যুব লিগের শিরোপা জিতেছে রিয়াল কাস্তিয়া। কোচ হিসেবে রাউলের এ অর্জন চোখ এড়ায়নি ইউরোপের ক্লাবগুলোর। এরই ধারবাহিকতায় লিডস ইউনাইটেডের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন রাউল। কিন্তু স্পেনের ক্রীড়া দৈনিক এএসের খবর, রিয়াল কাস্তিয়াতে থাকার জন্য সেই প্রস্তাবে ‘না’ বলে দিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে লিডসের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জেসে মার্শ। যুক্তরাষ্ট্রের এই কোচের অধীন বর্তমান মৌসুমটা ভালো কাটছে না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটির। লিগে ২০ ম্যাচ শেষে ১৮ পয়েন্ট নিয়ের ১৭তম স্থানে আছে তারা। এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডে উঠলেও ছিটকে গেছে লিগ কাপের তৃতীয় রাউন্ড থেকে। সব মিলিয়ে গতকাল বরখাস্ত হতে হয়েছে মার্শকে।
মার্শকে বরখাস্ত করার পরপরই রাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন লিডসের ক্রীড়া পরিচালক ভিক্টর ওর্টা। কিন্তু তাঁকে রাউল জানিয়ে দিয়েছেন মৌসুমের মাঝে রিয়াল কাস্তিয়াকে ছেড়ে কোথাও যাবেন না তিনি।
রাউল এর আগেও ইউরোপিয়ান ক্লাবের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন। সাবেক ক্লাব শালকে তাঁকে কোচ হিসেবে চেয়েছিল। এই দৌড়ে নেমেছিল জার্মানির আরেক ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুটও। এ ছাড়া স্পেনের কিছু ক্লাবও রাউলকে কোচ হিসেবে পাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।