জুভেন্টাসের বিপক্ষে পিএসজি এবং ম্যাকাবি হাইফার বিপক্ষে বেনফিকার জয়ের পর পয়েন্ট তালিকায় তাকিয়ে অনেকের প্রশ্ন—গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো কে? পয়েন্ট টেবিলে পিএসজি ও বেনফিকার ম্যাচ জয়, পরাজয়, ড্র, পয়েন্ট, নিজেদের পক্ষে গোল, বিপক্ষে গোল—সবই সমান। তবে কিসের ভিত্তিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে?
প্রশ্নের উত্তরটা অবশ্য টুর্নামেন্টের নিয়মেই ছিল। প্রতিপক্ষের মাঠে যারা বেশি গোল করেছে, তারাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। সেখানে আর সমতায় থাকা হয়নি দুই দলের। প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই এখন নকআউটে যাচ্ছে বেনফিকা।
দাপুটে খেলেও গ্রুপের সেরা দল হতে না পেরে হতাশ পিএসজির সমর্থক ও খেলোয়াড়েরা। হতাশার কথা জানিয়েছেন পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও। জুভেন্টাসের মাঠে দারুণ খেলেছেন এই ফরাসি তারকা। ম্যাচে দুর্দান্ত এক গোলের পর অন্য গোলেও সহায়তা করেন এমবাপ্পে।
তাঁর এমন পারফরম্যান্সের পরও শেষ পর্যন্ত গ্রুপের রানার্সআপ হতে হয়েছে পিএসজিকে। এমবাপ্পে বলেছেন, ম্যাচের সময় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এই হিসাব-নিকাশ তাঁদের জানাই ছিল না।
তাঁর কথা, ‘ম্যাচ চলাকালে আমরা জানতাম না। তবে শেষ দিকে ডাগআউট থেকে বিষয়টি আমাদের জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তখন আর কিছু করার ছিল না। এতে কিছু আসে–যায় না। আমরা কাজ করতেই এসেছি, যদিও এটা যথেষ্ট নয়। আমরা এখন ড্র (নকআউট পর্বের) দেখব এবং জেতার জন্য খেলব।’
হিসাব-নিকাশের পাশার দানটা অবশ্য বদেলেছে গতকাল রাতেই। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে থাকা পিএসজি জুভেন্টাসকে হারায় ২-১ গোলে। বিপরীতে হাইফার মাঠে বেনফিকা পায় ৬-১ গোলের বিশাল জয়। যোগ করার সময়ের দুই মিনিটে এসেছে ম্যাচের শেষ গোলটি, আরেকটি গোল এসেছিল নির্ধারিত সময়ের ৮৮ মিনিটে। এ দুটি গোলই মূলত পয়েন্ট তালিকায় তাদের শীর্ষে তুলেছে।
এখন পিএসজির রানার্সআপ হওয়ার অর্থ শেষ ষোলোতে গ্রুপ সেরা হওয়া কোনো দলের মুখোমুখি হতে হবে তাদের, যেখানে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, টটেনহাম, বায়ার্ন মিউনিখ, নাপোলি ও রিয়াল মাদ্রিদ। এখন ড্রয়ের রোমাঞ্চে নকআউট পর্বেই হয়ে যেতে পারে ধ্রুপদি কোনো লড়াই।