পেনাল্টি নাকি পেনাল্টি নয়? কাল ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথমার্ধে হ্যারি কেইনের শট ঠেকাতে গিয়ে তাঁকে ফাউল করে বসেন নেদারল্যান্ডসের ডেনজিল ডামফ্রিস। ভিএআরে যাচাই করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
ইংল্যান্ড পেনাল্টি পাওয়ার পর থেকেই এই আলোচনা চলছে। বিশ্লেষকদের মধ্যেও চলছে বিতর্ক। এই যেমন সাবেক ইংলিশ ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল মনে করছেন, এটা পেনাল্টি নয়। আবার সাবেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড ইয়ান রাইটের ভাবনা উল্টো। পেনাল্টি নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক, এই পেনাল্টিতেই সমতায় ফিরেছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেইনের অভিযোগ, তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
ব্রিটিশ টেলিভিশন আইটিভিকে কেইন বলেছেন, ‘আমার পা ঝুলে ছিল, অবশ্যই সে আমাকে ধরেছে। মাঝেমধ্যে আপনি এগুলো পাবেন, মাঝেমধ্যে পাবেন না। সুযোগ পেয়ে অবদান রাখতে পেরে ও বল জালে জড়াতে পেরে আমি খুশি। আসলেই চমৎকার এক অনুভূতি।’
তবে এমন পেনাল্টি লজ্জার বলে মনে করেন নেভিল। আইটিভিকে তিনি বলেছেন, ‘ডিফেন্ডার হিসেবে মনে করি, এটা লজ্জার। সহজাতভাবেই শট ঠেকানোর চেষ্টা করা হবে, এটা পেনাল্টি নয়। পেনাল্টি হওয়ার ধারেকাছেও ছিল না। আমরা সবাই পাগল হয়ে যাচ্ছি, আমরা জানি না, পেনাল্টি কী। সত্যি বলতে এটা পেনাল্টি নয়। আমার মনে হয় বক্সে এমন শট ঠেকানোর লাইসেন্স আছে।’
রাইটের দাবি একেবারে উল্টো, ‘এখন যেভাবে পেনাল্টি দেওয়া হয়ে থাকে, সেদিক থেকে দেখলে এটা লাগামহীন (ফাউল) ছিল। এ কারণেই পেনাল্টি দেওয়া হয়েছে। মাঠের অন্য যেকোনো জায়গাতেও এটা ফাউলই।’
শেষ পর্যন্ত কেইনের ইংল্যান্ড ম্যাচটি জেতে ২–১ গোলে। তাতে প্রথমবারের মতো নিজ দেশের বাইরে আয়োজিত কোনো বড় টুর্নামেন্টে ফাইনালের টিকিট পায় ‘থ্রি লায়ন’রা।
পাশাপাশি টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তারা। দলকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত কেইন, ‘ইতিহাস লেখা হলো। অসাধারণ অর্জন। দলের সবাইকে নিয়ে আমি গর্বিত, প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিয়ে। আমরা যা করেছি এবং দেশের বাইরে খেলতে এসে এমন অর্জন, তা সত্যিই স্পেশাল। আর এক ধাপ বাকি, আগামী রোববার সেই ধাপটা পার হতে হবে।’