ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ, সুপার কাপ ও ফ্রেঞ্চ কাপ—তিনটি শিরোপায় রাঙানো পিএসজিতে কিলিয়ান এমবাপ্পের শেষ মৌসুম। প্যারিস ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা ফরাসি তারকা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। গত পরশু প্যারিসের দল পিএসজির হয়ে শেষ ম্যাচটিও খেলে ফেলেছেন এমবাপ্পে। তাঁর বিদায়ী ম্যাচে ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে অলিম্পিক লিওঁকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে পিএসজি।
কিন্তু ম্যাচ শেষে আলোচনা পিএসজির তিন শিরোপা বা মৌসুমটা কেমন কাটল, তা নিয়ে হয়নি। ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল এমবাপ্পের বিদায় এবং তাঁর বিকল্প হিসেবে কাকে নিয়ে আসবে পিএসজি। সেই আলোচনায় পিএসজির স্প্যানিশ কোচ এনরিকে যা বলেছেন, সেটার অর্থ দাঁড়ায় একটাই—এমবাপ্পের কোনো বিকল্প হয় না, কোনো একজন–দুজনের মধ্যে তাঁর বিকল্প এনরিকে খুঁজবেনও না।
তাহলে? পিএসজি কি ভবিষ্যতে কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে? এনরিকে সে রকম কিছুও বলেননি। এমবাপ্পের বিকল্প নিয়ে তাঁর ভাবনাটা এ রকম— ‘কিলিয়ানকে কোচিং করাতে পেরে আমি ভাগ্যবান। কিন্তু তাঁর জন্য কঠিন এক মৌসুমই কেটেছে। কারণ, সাত বছর কাটিয়ে এবং এখানে সে যা কিছু অর্জন করেছে, এরপর বিদায় বলাটা সব সময়ই কঠিন।’
এমবাপ্পের প্রশংসা পর্ব শেষ করার পরই মূল কথাটা বলেছেন এনরিকে, ‘সে আলাদা এক খেলোয়াড়। অন্য কোনো খেলোয়াড়কেই আমরা তার বিকল্প বানাতে পারব না। চার, পাঁচ, ছয়জন খেলোয়াড় কেনা...আমরা যত সম্ভব কিনতে পারি। কিন্তু এমবাপ্পের বিকল্প হবে (পিএসজির) পুরো দল।’
লিগ আঁ বা ফ্রান্সের ঘরোয়া ফুটবলে পিএসজি অনেক আগে থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে যাচ্ছে। ক্লাবটির সমর্থক থেকে শুরু করে মালিকপক্ষ—সবার এখন একটাই চাওয়া; একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। এমবাপ্পে চলে যাওয়ার পর সেই আশা কি আর পূরণ হবে পিএসজির!
এনরিকে অবশ্য পিএসজির সমর্থকদের আশার কথাই শোনালেন, ‘আমাদের যে সমর্থক গোষ্ঠী আছে এবং ক্লাবের যে লক্ষ্য, সবকিছু জিততে হবে। আমরা আগামী মৌসুমগুলোয় এটা করার চেষ্টা করব। দেখি, সেটা করার সামর্থ্য আমাদের আছে কি না।’