ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আয়োজনটি হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালে। ৩২ দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবে ক্লাব বিশ্বকাপের রাজকীয় এ আসরটি। আলোচিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
গতকাল ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজকও যুক্তরাষ্ট্র। কানাডা ও মেক্সিকোকে সঙ্গে নিয়েই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে তারা। সেই বিশ্বকাপেও ভেন্যু হিসেবে থাকছে এই নিউ লাইফ স্টেডিয়াম।
আগামী বছরের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু ১৫ জুন, আর শেষ ১৩ জুলাই। ক্লাব বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে খেলা হবে ১২ ভেন্যুতে। নিউ জার্সি ছাড়া আরও ভেন্যু হিসেবে থাকছে—মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়াম, ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়াম, টিকিউএল স্টেডিয়াম, হার্ড রক স্টেডিয়াম, জিওডিস পার্ক, ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়াম, ইন্টার অ্যান্ড কো স্টেডিয়াম, লিঙ্কন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ড, অডি ফিল্ড, রোজ বোল স্টেডিয়াম এবং লুমিন ফিল্ড স্টেডিয়াম। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে কনকাকাফ গোল্ড কাপও অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামী ডিসেম্বরে। ৩২টি দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩০টি দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে।
ফিফা ক্লাব পর্যায়ের বিশ্বকাপ প্রথম চালু করে ২০০০ সালে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিদ্ধান্ত এর আকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, ২০২৫ সাল থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেবে ৩২টি দল। এর মধ্যে ইউরোপ থেকে ১২টি, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৬টি, আফ্রিকা, এশিয়া ও উত্তর-মধ্য আমেরিকা থেকে ৪টি করে ক্লাব থাকবে। বাকি দুটির একটি ওশেনিয়া মহাদেশের, আরেকটি স্বাগতিক দেশের।
ইউরোপের দলগুলোর মধ্যে থাকছে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন মিউনিখের মতো দল। দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিনিধি হিসেবে আছে আর্জেন্টিনার রিভার প্লেট, বোকা জুনিয়র্স, ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সময়ের মধ্যে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় যারা মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের ২০২৫ আসরে জায়গা নিশ্চিত হয়ে গেছে।
ফিফা সভাপতি কাল এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বলেছেন, ‘এই নতুন ফিফা প্রতিযোগিতা বিশ্বব্যাপী ক্লাব ফুটবলে সত্যিকারের সংহতি এবং অন্তর্ভুক্তির সত্যিকারের এক উদাহরণ হয়ে থাকবে, যা আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্য ও উত্তর আমেরিকা এবং ওশেনিয়ার সেরা ক্লাবগুলোকে নতুন বিশ্বকাপে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার শক্তিশালী ক্লাবগুলোর বিপক্ষে খেলার সুযোগ দিয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী ক্লাব ফুটবল এবং প্রতিভা বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে।’