ট্রফি হাতে এদেরসন
ট্রফি হাতে এদেরসন

ইতিহাদে এদেরসনের ভাস্কর্য চান সমর্থকেরা

জাতীয় দলে প্রধান গোলকিপার হিসেবে খেলা হয় না তাঁর। বেশির ভাগ সময় বসে থাকতে হয় বেঞ্চে। কিন্তু তাঁর ওপর কখনো আস্থা হারাননি ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। গতকাল রাতে সেই আস্থার প্রতিদানই দিলেন এদেরসন। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে দলকে বাঁচিয়ে এনে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা

ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিটি ভক্তরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এদেরসনকে। কেউ বললেন ইতিহাদের বাইরে তাঁর ভাস্কর্য বানাতে, আবার কারও মতে, এই ম্যাচে তাঁর করা সেভ ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসের সেরা।

ইস্তাম্বুলের ফাইনালে ৬৮ মিনিটে রদ্রির গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ইন্টার মিলান। টানা কয়েকটি আক্রমণে সিটিকে কাঁপিয়েও দেয় ইতালির ক্লাবটি। কিন্তু ইন্টারের সব প্রচেষ্টার সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে যান এদেরসন। বিশেষ করে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে সিটিকে অন্তত দুবার নিশ্চিত গোল খাওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন এই গোলরক্ষক।

চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর আবেগে ভেসেছেন এদেরসন

৮৮ মিনিটে প্রায় ‘পয়েন্ট ব্লাঙ্ক’ থেকে নেওয়া রোমেলু লুকাকুর হেড ঠেকিয়ে দেন এদেরসন। তাঁর দুর্দান্ত পজিশনিংয়ের কারণেই মূলত গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় সিটি। এরপর শেষ বাঁশি বাজার আগে আবার পোস্ট আগলে দলকে রক্ষা করেন এদেরসন। শুধু এই দুটিই নয়, এর আরও একাধিকবার ইন্টারকে নিরাশ করেন এই ব্রাজিলিয়ান। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যাচের পর সমর্থকদের কাছ থেকে পেয়েছেন দারুণ প্রশংসা।

এদিন ম্যাচ শেষেই মাঠে বসে কাঁদতে দেখা যায় এদেরসনকে। বহুল আকাঙ্ক্ষার ট্রফি বলে কথা! যে আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথে তিনিও রেখেছেন দারুণ অবদান। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে এদেরসনের অবদানের দালিলিক স্বীকৃতি উঠে এসেছে গণমাধ্যমের রেটিংয়ে। বিবিসির দেওয়া রেটিংয়ে জন স্টোনসের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৬.৮৩ নম্বর পেয়েছেন এদেরসন। ফুটবলভিত্তিক পোর্টাল গোল ডটকমের সর্বোচ্চ রেটিং ৮, এখানেও যৌথভাবে আছেন এদেরসন।

দারুণ নৈপুণ্য দেখানো এই গোলরক্ষককে নিয়ে মার্কিন সাংবাদিক এরিয়েল হেলওয়ানি লিখেছেন, ‘ইতিহাদে এদেরসনের ভাস্কর্য বানিয়ে রাখা হোক।’ ৮৮ মিনিটের সেভটি নিয়ে এক সমর্থক লিখেছেন, ‘ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসে সেরা সেভ।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘এইমাত্র এদেরসন চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে সেরা সেভটি করলেন।’