মোনেম মুন্না ১৯৯১ সালে খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। সঙ্গে ছিলেন রিজভি করিম রুমি, শেখ মোহাম্মদ আসলাম আর গোলাম গাউস। সেবার কলকাতা লিগে বাংলাদেশের ফুটবলারদের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ আলোচিত। তাঁরা জয় করেছিলেন কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়।
বিশেষ করে মোনেম মুন্নার পারফরম্যান্স ইস্টবেঙ্গলের সাফল্যে রেখেছিল বড় ভূমিকা। ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের কিংবদন্তিই হয়ে আছেন প্রয়াত এই তারকা। মুন্না এরপর ১৯৯৩ সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আরও একবার খেলেছিলেন।
ইস্টবেঙ্গলে এর আগে বাংলাদেশ থেকে যাঁরা খেলেছেন, তাঁরা সবাই বড় বড় তারকা। কিংবদন্তি পর্যায়ের। আমিও তাঁদের মতোই ইস্টবেঙ্গলে খেলতে যাচ্ছি, এটা বিশাল ব্যাপার।সানজিদা আক্তার
৩৩ বছর পর আরেক বাংলাদেশি ফুটবলারের গন্তব্য ইস্টবেঙ্গল। এবার ইস্টবেঙ্গলের লাল–হলুদ জার্সি পরতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের উইঙ্গার সানজিদা আক্তার। ভারতের নারী ফুটবল লিগে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের পর সানজিদা হতে যাচ্ছেন দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী ফুটবলার।
মোনেম মুন্না, শেখ আসলাম, রিজভি করিম রুমি কিংবা গোলাম গাউসরা যখন খেলতেন তখন সানজিদা এ পৃথিবীতেই আসেননি। তাঁরা কত বড় তারকা ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলে, সেটি সেভাবে তাঁর জানার কথা নয়। তবে সানজিদা এই নামগুলোর সঙ্গে পরিচিত। বড়দের কাছে শুনেছেন মোনেম মুন্নাদের গল্প। শুনেছেন ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে তাঁদের খেলার কথা।
এসব শুনেই আলাদা একটা রোমাঞ্চ কাজ করছে সানজিদার মধ্যে, ‘ইস্টবেঙ্গলে এর আগে বাংলাদেশ থেকে যাঁরা খেলেছেন, তাঁরা সবাই বড় বড় তারকা। কিংবদন্তি পর্যায়ের। আমিও তাঁদের মতোই ইস্টবেঙ্গলে খেলতে যাচ্ছি, এটা বিশাল ব্যাপার। আমি অনেক খুশি, অনেক রোমাঞ্চিত।’
ইস্টবেঙ্গলে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন সানজিদা। তবে তিনি কবে ভারতে যাবেন, সেটি নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। অনিশ্চয়তাটা আসলে ভিসা নিয়ে। আজ বুধবার পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা হাতে পাননি তিনি, ‘আমি এখনো ভিসা পাইনি। তবে আশা করি, দ্রুতই পেয়ে যাব। ভিসা পেলেই রওনা দেব।’
ভারতীয় লিগে কিকস্টার্ট এফসির হয়ে খেলছেন সাবিনা। তিনি এর আগে খেলেছিলেন সেথু এফসির হয়ে। গত রোববার ভিসা হাতে পেয়ে পরদিনই ভারতে চলে গেছেন সাবিনা। সেখানে দলের সঙ্গে যোগও দিয়েছেন। আজ বিকেলে সেথু মাদুরাইয় ক্লাবের সঙ্গে সাবিনাদের ম্যাচ ছিল। সে ম্যাচে ১–০ গোলে জিতেছে কিকস্টার্ট। সাবিনা ম্যাচটি খেলেননি। এ মুহূর্তে ভারতীয় নারী লিগের শীর্ষেও আছে কিকস্টার্ট। ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট তাদের। সানজিদাদের ইস্টবেঙ্গল এক ম্যাচ কম খেলে মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। সাত দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ লিগ। কিকস্টার্ট আর ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও অন্য পাঁচ দল হচ্ছে ওডিশা এফসি, গোকুলাম কেরালা এফসি, সেথু এফসি, হপস এফসি ও স্পোর্টস ওডিশা।
ভারতে গিয়ে সানজিদাকে যে যথেষ্ট কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, সেটা বলাই যায়।