ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছেন। বিশ্বকাপের পর এই খবর মোটামুটি পাকা। যদিও রোনালদো নিজ মুখে স্বীকার করেননি কখনোই। সূত্র জানাচ্ছে, নতুন বছরের প্রথম দিনই নাকি আল নাসরের সঙ্গে চুক্তিতে সই করে ফেলবেন পর্তুগিজ তারকা। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে। তবে নতুন খবর হচ্ছে সৌদি আরবের এই ক্লাব নাকি সের্হিও রামোসকে রোনালদোর সঙ্গী করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সৌদি আরবের এই ক্লাব প্রচুর অর্থ খরচ করতে রাজি। যেকোনো মূল্যেই তারা এই ক্লাবকে বিশ্ব ফুটবলের আলোচনায় নিয়ে আসতে চায়। সে কারণেই বড় বড় তারকাদের দলে ভেড়াতে চাচ্ছে তারা। রোনালদোর দিকে হাত বাড়ানো সেই প্রকল্পেরই অংশ।
এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট প্রকল্পও আছে আল নাসরের। সে কারণেই রামোসের দিকে চোখ সৌদি ক্লাবটির। রামোসকে অবশ্য এখনই পাচ্ছে না তারা। ২০২৩ সালের জুনে পিএসজির সঙ্গে রামোসের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তখনকার জন্যই স্প্যানিশ তারকাকে প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে আল নাসর, জানা গেছে এমনটাই।
গতকাল স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচে পিএসজির প্রথম একাদশে ছিলেন রামোস। কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের হয়তো তাঁকে প্রথম একাদশে খেলানোর ব্যাপারে মনস্থির করেছেন। পিএসজিতে আসার পর থেকে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকার কাছ থেকে তেমন কিছু পায়নি পিএসজি।
চোটে চোটেই কেটেছে প্রথম বছরটা। মেসি, এমবাপ্পে, নেইমার, আশরাফ হাকিমিদের সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরার এখনই সময়। এই সময় আল নাসরের প্রস্তাবে রামোস রাজি হবেন কি না, সেটি নিয়ে সংশয় থাকছেই। সৌদি ক্লাবটি অবশ্য খুব করেই চাচ্ছে রামোসকে আগামী গ্রীষ্মে রিয়াদে নিয়ে আসতে।
রামোসের অবশ্য পরিকল্পনা ভিন্নই হওয়ার কথা। রিয়াল তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর কিছু একটা প্রমাণের উদ্দেশ্যেই মাদ্রিদ থেকে প্যারিসে এসেছিলেন। পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে স্পেনের ক্লাবে নতুন করে ফেরার ব্যাপারও আছে। রামোস এসব ছেড়ে সৌদি আরব খেলতে যাবেন কি না, সেটি সময়ই বলে দেবে।
তবে এই মুহূর্তে রোনালদোই আল নাসরের অগ্রাধিকার। রোনালদোকে দলে নিতে তারা ইতিমধ্যেই দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছে। জানুয়ারি দলবদলে রোনালদো যোগ না দিলে তাদের বড় বিপদেই পড়তে হবে। তবে এখনো পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই আছে। এক দিন আগেই রোনালদোর এক প্রতিনিধি (এজেন্ট হোর্হে মেন্দেজ নন) রিয়াদে গিয়ে চুক্তির খুঁটিনাটি ঠিক করে এসেছেন।