ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময় কোচের চাকরি টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন (বাঁ থেকে) পল স্টারক, পিটার রেইড ও কেনি ডালগ্লিশ
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময় কোচের চাকরি টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন (বাঁ থেকে) পল স্টারক, পিটার রেইড ও কেনি ডালগ্লিশ

কোচের চাকরি যখন ৯ দিনের

এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত মাত্র একজন কোচই বরখাস্ত হয়েছেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শেফিল্ড ইউনাইটেড ছাঁটাই করেছে পল হেকিংবটমকে, যিনি অবনমন অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করা দলকে টেনে তুলতে পারছিলেন না।

এক দিক থেকে হেকিংবটমের ভাগ্য ভালোই বলতে হবে। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে কোচ বরখাস্তের ঘটনা একটু দেরিতেই শুরু হয়েছে। ২০২২–২৩ মৌসুমে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই কোচের বদল ঘটেছিল ৬টি ক্লাবে। সেদিক থেকে এবার মৌসুম শুরুর প্রায় চার মাস পর দেখা গেল প্রথম ছাঁটাই।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোচ ছাঁটাই একসময় এতটাই নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে মৌসুমের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই চাকরি হারিয়েছিলেন কেউ কেউ। ফুটবলের তথ্য সংরক্ষণ করা প্রতিষ্ঠান অপটা জানাচ্ছে, মৌসুমের শুরুর দিকেই চাকরি হারানো কোচদের মধ্যে তিনজনকে ডাগআউট ছাড়তে হয়েছে ১২ দিনের মধ্যে।

অপটার সৌজন্যে নজর ফেরানো যাক সেসব দুর্ভাগা কোচের দিকে।

পল স্টারক▐ সাউদাম্পটন▐ ৯ দিন

পল স্টারক প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে অল্প সময় দায়িত্বে থাকা কোচ

প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে মৌসুম শুরুর পর সবচেয়ে দ্রুত চাকরি হারিয়েছিলেন পল স্টারক। ২০০৪–০৫ মৌসুম শুরুর পর মাত্র ৯ দিন দায়িত্বে থাকতে পেরেছেন সাউদাম্পটনের এই কোচ। এ সময়ের মধ্যে লিগে দুটি ম্যাচ খেলেছিল সাউদাম্পটন। অ্যাস্টন ভিলার কাছে ২–০ ব্যবধানে হারলেও ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে জিতেছিল ৩–২ ব্যবধানে। কিন্তু খেলোয়াড়দের সঙ্গে মনোমালিন্যের সূত্র ধরে ক্লাব ছেড়ে যেতে হয় তাঁকে।

পিটার রেইড▐ ম্যানচেস্টার সিটি▐ ১২ দিন

টানা তিন হারেই বরাখাস্ত হয়েছিলেন পিটার রেইড

পিটার রেইড ছিলেন খেলোয়াড়–কোচের ভূমিকায়। তবে সেটা যে মাত্র ১২ দিনে শেষ হয়ে যাবে, নিশ্চয়ই ভাবেননি। ১৯৯৩–৯৪ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি চার ম্যাচ পরই রেইডকে বরখাস্ত করে। প্রথম ম্যাচে লিডসের সঙ্গে ১–১ ড্রয়ের পর টানা তিন ম্যাচ হারাতেই তাঁর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে ম্যানেজমেন্ট। সিটিতে কোচের চাকরি হারিয়ে সাউদাম্পটনে গিয়ে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার ধরে রাখেন রেইড। সে মৌসুমে সাউদাম্পটনের চেয়ে দুই পয়েন্ট বেশি পায় সিটি।

কেনি ডালগ্লিশ▐ নিউক্যাসল▐ ১২ দিন

নিউক্যাসল ছাঁটাই করার পর দীর্ঘ দিন প্রিমিয়ার লিগে কোচিং করাননি কিংবদন্তি কেনি ডালগ্লিশ

১৯৯৮–৯৯ মৌসুমে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই চাকরি যায় কেনি ডালগ্লিশের। চার্লটন অ্যাথলেটিক ও চেলসির সঙ্গে ড্র হওয়ার পরই নিউক্যাসল ইউনাইটে তাঁকে সরিয়ে দেয়। দ্রুতই ছাঁটাই হওয়ার পর দীর্ঘদিন প্রিমিয়ার লিগে আর কোচিংই করাননি ডালগ্লিশ। ২০০০ সালে কিছুদিনের জন্য নিজ দেশ স্কটল্যান্ডের ক্লাব সেল্টিকের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১১ সালে আবারও প্রিমিয়ার লিগের কোচিংয়ে ফেরেন। দায়িত্ব নেন লিভারপুলের, খেলোয়াড়ি জীবনে যে লিভারপুল তাঁকে কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গেছে।