ব্যালন ডি’অর ট্রফি
ব্যালন ডি’অর ট্রফি

রিয়াল মাদ্রিদে ব্যালন ডি’অর ‘নিষিদ্ধ’

‘চোট লাগে দিলে’ বলে একটা গান আছে।

ব্যালন ডি’অর না পাওয়ায় এমন চোটই লেগেছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের। ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গার ২০২৪ ব্যালন ডি’অর না পাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তাঁর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদও। আর সেটা এতটাই যে এখন থেকে আগামী কয়েক মাস ব্যালন ডি’অর নিয়ে কোনো কথাই উচ্চারিত হবে না রিয়াল মাদ্রিদে। মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কার ভাষায়, ‘রিয়াল মাদ্রিদে ব্যালন ডি’অর যেন নিষিদ্ধ কিছু।’

ফুটবল–বিশ্বে যে দুটি ব্যক্তিগত পুরস্কার সবচেয়ে মর্যাদাবান বলে বিবেচিত হয়, তার একটি ব্যালন ডি’অর। এ বছরের পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। জিতেছেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। পুরস্কারটি ভিনিসিয়ুস নয়, রদ্রি পাচ্ছেন জানার পর রিয়াল মাদ্রিদ প্যারিসের ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানই বয়কট করেছিল। সেই ঘটনার দুই মাস পরও এর রেশ থেকে যাওয়ার কারণ ফিফা দ্য বেস্ট।

দোহায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিনিসিয়ুসের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো

গত সপ্তাহে ২০২৪ সালের ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার দিয়েছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। জিতেছেন ভিনিসিয়ুস। কাতারের দোহায় আন্তমহাদেশীয় কাপ খেলতে গিয়েছিল রিয়াল, সেখানেই আয়োজিত ফিফা দ্য বেস্টে মহাসমারোহে অংশ নেয় স্প্যানিশ ক্লাবটি। ভিনিসিয়ুস ফিফা দ্য বেস্ট জেতায় নিজের উচ্ছ্বাস যেমন প্রকাশ করেন, তেমনি তাঁকে ‘নিচে টেনে নামানোর অপচেষ্টা’ নিয়েও কথা বলেন।

মার্কার খবর বলছে, ফিফা দ্য বেস্ট জিতলেও ব্যালন ডি’অরে উপেক্ষিত হওয়ার কথা ভোলেননি ভিনিসিয়ুস। ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড এবং রিয়াল মাদ্রিদ এ বিষয়ে একটি অবস্থান নিয়েছে। সেটি হচ্ছে ব্যালন ডি’অরকে উপেক্ষা করা। ক্লাবটির পরিচালকেরা, ভিনিসিয়ুস এবং তাঁর ব্যবস্থাপক দলের কেউ ব্যালন ডি’অর নিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারণ করবেন না। সংশ্লিষ্টরা চান, ‘ব্যালন ডি’অর বলে কিছু নেই’ আবহ তৈরি করতে—লিখেছে মার্কা।

২০২৪ ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান বয়কট করে রিয়াল মাদ্রিদ

ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেয় ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’—এ বছর থেকে সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাও। ব্যালন ডি’অরে ছেলেদের বর্ষসেরা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০–তে থাকা দেশগুলোর একজন করে সাংবাদিক। সেখানে ৪১ পয়েন্ট ব্যবধানে রদ্রির পেছনে পড়েন ভিনিসিয়ুস।

আর ফিফা দ্য বেস্টে ভোট দিয়েছেন দুই শর বেশি সদস্যদেশের অধিনায়ক, কোচ, সাংবাদিক ও সমর্থক। রদ্রির চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেশি ভোট পেয়ে ফিফা দ্য বেস্ট জিতেছেন ভিনিসিয়ুস।