সতর্ক না হলে পা পিছলাতে পারে ব্রাজিলের

পাঁচবারের বিশ্বসেরা ব্রাজিল মাঠে নামছে আজ রাতে। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে সার্বিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়েই তাদের বিশ্বকাপ শুরু হবে বলে আমার বিশ্বাস। বিশ্বাসের মূলে বড় যুক্তি, ব্রাজিলের ফুটবলারদের পায়ের কারুকাজ অন্যদের চেয়ে ভালো। সেটাই দিন শেষে তাদের জয়ী করে। আজও ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ব্রাজিলের এই দলে দুজন বয়সী ডিফেন্ডার আছে। দানি আলভেজের বয়স ৩৯ ও থিয়াগো সিলভার ৩৮। তবে সামগ্রিকভাবে তিতে বাহিনীকে বয়সের ভারে ভারী বলা যাবে না। চনমনে একটা ভাব আছে দলটার। সার্বিয়ার বিপক্ষে সেই চনমনে ব্রাজিলকেই দেখতে চাইবে সমর্থকেরা।

তবে প্রতিবেশী আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর আজ একটু বাড়তি সতর্কতা নিতেই হবে ব্রাজিলকে। নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে হবে। ব্রাজিল একটা একটা করে ম্যাচ এগোতে চায়, সেটা করতে হলে ভালো শুরু দরকার। সেই লক্ষ্যে ব্রাজিলের আক্রমণভাগকে রাখতে হবে বড় ভূমিকা। নেইমার, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা দলকে টেনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও সেই ক্ষমতা একদা ছিল। এখন সে কতটা পার্থক্য গড়তে পারবে, সংশয় আছে। নিজ দলকে মাঠে উজ্জীবিত করার ক্ষমতাও তার কমে এসেছে। ভালো বিকল্প না থাকায় হয়তো দলে এখনো সমাদর পায় রোনালদো। তবে আমি মনে করি, রোনালদোর সাম্প্রতিক কালে যা পারফরম্যান্স, তাতে তাকে নিয়ে বাজি ধরা ঝুঁকিপূর্ণ। কাতারে দারুণ কিছু করে রোনালদো নজর কাড়বে বলে মনে হয় না। সেটা সে না পারলে ঘানার সঙ্গে আজ জিততে ঘাম ঝরতে পারে পর্তুগালের।

ঘানার সমস্যা হলো, ভালো খেলতে খেলতে একটা সময় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। দেখা যায়, মাঠে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু করে দেয় আফ্রিকার দেশটি। এটুকু বাদ দিলে এমনিতে ঘানা ফুটবল জাতি। ওরা আজ মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে পারলে পর্তুগালের জন্য সহজ হবে না ৩ পয়েন্ট পাওয়া।

উরুগুয়েকেও চাপে ফেলার ক্ষমতা রাখে দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়ানদের রানিং, ছায়া রানিং—সবই ভালো। এই কাজটা আজ ভালোভাবে করে যদি তারা প্রতিপক্ষের ব্যাক অব দ্য ডিফেন্সে বল ফেলতে পারে এবং খেলোয়াড়েরা সেই বল পায়ে জমাতে পারে, তাহলে উরুগুয়ের জন্য বিপদ আছে।

সৌদি আরবের ফুটবলাররা যেমন বিপদে ফেলেছে আর্জেন্টিনাকে। তবে উরুগুয়ে দলটা মানসিকভাবে পরিপক্ব, টেকনিক্যালি ভালো। দুবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অনেক ফুটবলারই ইউরোপে খেলে। তাই কোরিয়ার বিপক্ষে আজ লুইস সুয়ারেজদেরই জেতার সম্ভাবনা বেশি।

সুইজারল্যান্ডও মনে হয় ক্যামেরুনের বিপক্ষে জিতে যাবে। ক্যামেরুনের ফুটবলারদের শারীরিক সক্ষমতা ভালো। তবে ওদের একটু মেরে খেলার প্রবণতা আছে, সেটা নিয়ন্ত্রণ না করলে ভুগতে হবে মাঠে।