আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপা–খরা ঘোচানোর অভিযানে লিওনেল মেসিদের পরবর্তী বাধা নেদারল্যান্ডস। গতকাল রাতে অস্ট্রেলিয়াকে ২–১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবার নিয়ে ছয়বার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নেদারল্যান্ডস।
আর্জেন্টিনার মতোই নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ ইতিহাসসমৃদ্ধ। এখনো পর্যন্ত কোনো শিরোপা জিততে না পারলেও তিনটি ফাইনাল খেলেছে দলটি, দুবার খেলেছে সেমিফাইনালে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা এই নিয়ে দশমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে। দুটি শিরোপা জেতা দলটি ফাইনাল খেলেছে পাঁচবার।
ঐতিহ্যবাহী এবং অসাধারণ দুটি দলের একটি কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে যাবে। এটা ভেবে একটু খারাপই লাগছে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির। আগামী শুক্রবারের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়া সেই দলটি যে নেদারল্যান্ডসই হবে, এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে স্কালোনিকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর আর্জেন্টিনা কোচ বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক দুটি দলের মধ্যে অসাধারণ একটি ম্যাচই হবে। দুঃখ এই যে একটি দলকে হারতে হবে। আশা করছি, আমরাই পরের রাউন্ডে যাব।’
স্কালোনি এরপর প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ডাচ কোচ লুই ফন গালকে, ‘তার মুখোমুখি হওয়াটা গর্বের বিষয়। আমরা জানি, ফুটবলে তার অবদান কতটা। কত কোচ যে তাকে অনুকরণ করতে চেয়েছে! তার মতো একজনের মুখোমুখি হওয়ার আনন্দ আপনাকে দিচ্ছে ফুটবল। বিশেষ করে এটা যখন বিশ্বকাপে হয়, বিষয়টি আরও আনন্দের।’
বিশ্বকাপে ডাচদের সোনালি সময় কেটেছে সত্তরের দশকে।
১৯৭৪ সালে রাইনাস মিশেলের অধীনে ইয়োহান ক্রুইফ–ইয়োহান নেসকেন্সদের নেদারল্যান্ডসের শিরোপা জিততে না পারাটা ফুটবলের বড় এক রহস্য। সেবার তারা ফাইনালে ২–১ গোলে হেরেছিল পশ্চিম জার্মানির কাছে। এর পরের বিশ্বকাপেও ফাইনালে উঠেছিল নেদারল্যান্ডস। সেবার ডাচদের হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।
১৯৭৮–এর পর ডাচরা আবার ফাইনাল খেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ বিশ্বকাপে। এ ছাড়া ১৯৯৮ ও ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে নেদারল্যান্ডস। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ডাচদের জ্বলে ওঠাটা দেখতে চান না স্কালোনি, ‘আমরা কঠিন এক প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হব। ভালো খেলার আশা করছি। আমি চাই, তারা যেন অতীতের ডাচ দলগুলোর জ্বলে উঠতে না পারে।’