ইস্পাহানি–প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে আজ শুক্রবার চারটি দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নিজ নিজ ম্যাচে জিতে এ চার দল আগামীকাল চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা চারটি দল হচ্ছে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। আগামীকাল শনিবার সকালে দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে বিজিসি ট্রাস্ট ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মুখোমুখি হবে। দ্বিতীয় ম্যাচে চুয়েট ও সাদার্ন ইউনিভার্সিটি খেলবে। দুই ম্যাচের বিজয়ী দল ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করবে।
আজ সকালে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী ম্যাচে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ৪–১ গোলে ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিকে হারিয়েছে। ম্যাচের ১৯ মিনিটে আরমানের গোলে এগিয়ে যায় বিজিসি। পরে তিনি আরও একটি গোল করেন। অপর দুটি গোল করেন সাজ্জাদ ও সিরাজুল। মং মং মারমা ক্রিয়েটিভের পক্ষে একটি গোল পরিশোধ করেন।
ম্যাচসেরা হন আরমান। ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি আলী আব্বাস ও ইস্পাহানি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা।
দ্বিতীয় ম্যাচে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ওহিদুল ইসলামের একমাত্র গোলে পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়েছে। ম্যাচসেরা হন বিজয়ী দলের নোমান উদ্দিন। পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম শহিদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইস্পাহানি টি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক তাসবির হাকিম।
দিনের তৃতীয় ম্যাচে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি ৫–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিকে। একাই চার গোল করে ম্যাচসেরা ফাহিম উদ্দিন। সাদার্ন ইউনিভার্সিটির হয়ে অপর গোলটি করেন সঞ্জয়। ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএসের ভারপ্রাপ্ত ফুটবল সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর মহাব্যবস্থাপক (ব্র্যান্ড অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন) অরূপ ঘোষ ও ইস্পাহানির কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন।
দিনের শেষ ম্যাচে ৪–০ গোলে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়কে (সিভাসু) হারিয়েছে চুয়েট। রাকিব দুটি এবং ইসমাইল কবির ও ওমর আবির একটি করে গোল করেন। ম্যাচসেরা ইসমাইল কবিরের হাতে পুরস্কার তুলে দেন টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ইস্পাহানির ব্যবস্থাপক মো. নুরুন্নবী।
চারটি ম্যাচে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন ফিফা রেফারি আবদুল হান্নান মিরন।