পিএসজি অভিযান শেষে লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ কী—ফুটবল–বিশ্বে এ আলোচনা মাঝেমধ্যেই শোনা যাচ্ছে। পিএসজির সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। কিন্তু মেসিকে এখনই ছাড়তে চায় না প্যারিসের ক্লাবটি। তাঁকে অন্তত আরও এক বছরের জন্য রেখে দিতে চায় পিএসজি।
মেসিকে পিএসজি রেখে দিতে চাইবেই না বা কেন। বার্সেলোনা থেকে মেসি গত বছর পিএসজিতে নাম লেখার পর যে স্পনসর চুক্তি থেকে আয় বেড়েছে দলটির, বেড়েছে ক্লাবের জার্সি বিক্রিও। এ ছাড়া মাঠে মেসির খেলার প্রভাব তো আছেই।
এদিকে মেসির কথা এখনো ভুলতে পারেনি বার্সেলোনা। মেসি চলে যাওয়ার পর গত মৌসুমটা খুব বাজে কেটেছে ক্যাম্প ন্যুয়ের দলটির। আর্থিক সংকটের প্রভাব পড়েছিল মাঠের পারফরম্যান্সেও। কিন্তু টিভি সত্ত্বের ২৫ শতাংশ বিক্রি করে আর্থিক সংকট কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠেছে বার্সেলোনা।
লিডস ইউনাইটেড থেকে রাফিনিয়া আর বায়ার্ন মিউনিখ থেকে রবার্ট লেভানডফস্কিকে কিনে নিয়েছে তারা। এই দুই তারকার জন্য প্রায় ১২ কোটি ইউরো খরচ করতে হয়েছে। তবে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়া ও পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানডফস্কিকে কেনার ফল এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছে বার্সা। প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয় উন্নতির স্পষ্ট ছাপ দেখা যাচ্ছে। আজ তো রাফিনিয়ার একমাত্র গোলে লাস ভেগাসের প্রীতি ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েও দিয়েছে বার্সেলোনা।
কিন্তু রাফিনিয়া ও লেভার কাছ থেকে যত কিছুই পাক, মেসির অভাবটা যেন এখনো ভুলতে পারছে না বার্সেলোনা! এ কারণেই তো বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে নিয়ে বলেছেন—মেসি-অধ্যায় এখনো শেষ হয়ে যায়নি!
মেসিকে আবার ফিরেয়ে আনার ইঙ্গিতই আছে লাপোর্তার কথায়। ৩৫ বছর বয়সী মেসিকে নিয়ে লাপোর্তা বলেন, ‘বার্সেলোনার ইতিহাসে সে-ই সম্ভবত সেরা খেলোয়াড়। সবচেয়ে কার্যকর খেলোয়াড়, বার্সেলোনার ইতিহাসে তাঁর তুলনা শুধু ইয়োহান ক্রুইফের সঙ্গেই দেওয়া যায়।’
আর্থিক সংকট মোচন করতে গিয়ে এমন একজন খেলোয়াড়কেই কি না ঝেড়ে দিল বার্সেলোনা! লাপোর্তা বলেন, ‘একদিন তো এমনটা ঘটতেই হতো। আমাদের এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে কোনো খেলোয়াড় বা কোচই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে নয়।’
আসল কথাটা এরপরই বলেন লাপোর্তা। যে কথা শুনে বার্সেলোনার সমর্থকদের মন নেচে উঠতে পারে তিনতালে! কী এমন কথা? শোনা যাক লাপোর্তার কণ্ঠেই, ‘আমি মনে করি না, মেসি-অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে। আর মেসির অধ্যায় যে এখনো খোলা আছে, সেটি নিশ্চিত করা আমাদেরই দায়িত্ব।’