পেপ গার্দিওলা যথার্থই বলেছেন। আর্লিং হলান্ড মেশিন নয় তো কী! গত মাসে আন্তর্জাতিক বিরতির আগে খেলা সর্বশেষ দুই ম্যাচে গোল করেছিলেন ৮টি। গতকাল চোট কাটিয়ে ফিরে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে করেছেন জোড়া গোল।
ম্যাচ শেষে তাই হলান্ডের মাহাত্ম্য বোঝাতে গার্দিওলা উদাহরণ হিসেবে টেনে এনেছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। হলান্ডের মধ্যে মেসি-রোনালদোর মানসিকতা দেখছেন ম্যানচেস্টার সিটির এ কোচ।
গতকালই নিসের বিপক্ষে গোল করে ইউরোপে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হয়েছেন মেসি। মেসির গোলসংখ্যা এখন ৭০২। আর এই মাইলফলক স্পর্শ করার পথে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে পর্তুগিজ তারকার গোলসংখ্যা ৭০১। ক্যারিয়ারজুড়েই এভাবে একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার গল্প লিখেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার।
মেসি-রোনালদোর সব কীর্তিতে চ্যালেঞ্জ জানানোর মানসিকতা হলান্ডের আছে বলেই মনে করছেন গার্দিওলা, ‘আমি যেদিন থেকে আর্লিংকে (হলান্ড) দেখেছি, ওর মানসিকতা মেসি-রোনালদোর মতোই মনে হয়েছে। আর্লিং মেসি-রোনালদোর মতোই নিজের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। যখন সে ২-৩টি গোল করতে পারে না, নিজেকে প্রশ্ন করে—কী সমস্যা? এই বয়সে সে যত গোল করেছে, তা অবিশ্বাস্য! দেখুন, এখন পর্যন্ত কতগুলো ম্যাচে হলান্ড গোল করেছে, এরপর একই বয়সী রোনালদো-মেসির গোলের সঙ্গে তুলনা করুন। মিল খুঁজে পাবেন।’
মেসি-রোনালদো ইউরোপের ফুটবলে রাজত্ব করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। তাদের মতো লম্বা সময় ধরে পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হলে হলান্ডকে ফিটনেস নিয়ে বাড়তি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গার্দিওলা, ‘মেসি-রোনালদো চোটেই পড়ত না। আর্লিং অনেক লম্বা, বড়সড়। শরীরটার অনেক যত্ন নিতে হবে। আর্লিং জানে, মেসি-রোনালদো কোনো একটা বছরে নয়, দুই যুগ ধরে পারফরম্যান্স ধরে রেখেছে।’
মেসিই যে সর্বকালের সেরা, এই কথা গার্দিওলা অনেকবারই বলেছেন। গতকাল হলান্ডকে নিয়ে আলোচনার মধ্যেও এক জায়গায় মেসিকে এগিয়ে রাখলেন ম্যানসিটি কোচ, ‘মেসি নিখুঁত একজন ফুটবলার। সে সব জায়গায় খেলতে পারে, খেলাটা ভালো বোঝে। অন্যদিকে আর্লিং-রোনালদো মেশিন।’