রাফিনিয়ার মতে ব্রাজিলের ফেবারিট–তকমা চাপ নয়
রাফিনিয়ার মতে ব্রাজিলের ফেবারিট–তকমা চাপ নয়

ব্রাজিল বড় আর ভালো দল, প্রত্যাশার চাপ তো থাকবেই

ব্রাজিল কি এবার নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে দেশে ফিরতে পারবে? নেইমারদের দল যা, তাতে সমর্থকেরা আশাবাদী হতেই পারেন। দুই দশক হয়ে গেছে, ব্রাজিল সর্বশেষ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে। ফুটবলপাগল দেশটির মানুষ একটি আরেকটি বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্ন দেখছে অনেক দিন ধরেই। মানুষের এই প্রত্যাশা কি চাপ হয়ে দেখা দেবে কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দলটির খেলোয়াড়দের জন্য!

সতীর্থ নেইমারের সঙ্গে রাফিনিয়া

২০১৪ সালে ঘরের মাঠেও ফেবারিট ছিল ব্রাজিল। সেমিফাইনালেও পৌঁছে গিয়েছিল তারা। কিন্তু বেলো হরিজন্তের সেই সেমিফাইনাল ছিল ব্রাজিলের জন্য দুঃস্বপ্নের। নিজ দেশের দর্শকদের সামনে ফেবারিট ব্রাজিল ভেঙে পড়েছিল হুড়মুড় করে। সেদিন চাপের কাছে যেন নতিস্বীকার করেছিল ব্রাজিল। জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল নেইমার-থিয়াগো সিলভা-দানি আলভেজরা। ২০১৮ বিশ্বকাপেও ফেবারিট হিসেবে এসে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল ভেঙে পড়েছিল বেলজিয়ামের সামনে।

কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিল

এবার কাতারে কী করবে ব্রাজিল? দলের অন্যতম তারকা রাফিনিয়া বলেছেন, ‘যেকোনো টুর্নামেন্টই ব্রাজিল খেলতে যায় শিরোপা জিততে। এটাই স্বাভাবিক। ব্রাজিল ভালো দল, এই দলের কাছে প্রত্যাশা থাকবেই। এবারের বিশ্বকাপেও ব্রাজিল ফেবারিট, এটা কোনো চাপ নয়। বরং এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা বিষয়।’

গত বছর নিজ দেশের মাটিতে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে গিয়েছিল ব্রাজিল। বার্সেলোনা তারকা রাফিনিয়া ব্রাজিলের দুই দশকের খরা ঘোচাতে বড় ভূমিকা রাখবেন বলেই আশাবাদী সবাই। তিনিও প্রস্তুত হচ্ছেন বিশ্বকাপের জন্য। বার্সেলোনার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়েও কথা বলেছেন রাফিনিয়া, ‘আমি বিশ্বকাপের জন্য তৈরি। প্রচুর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরতে চাই যতটা সম্ভব। আমি শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে তৈরি।’

ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ মিশন শুরু হবে ২৪ নভেম্বর। প্রথম ম্যাচে নেইমার-রাফিনিয়াদের প্রতিপক্ষ সার্বিয়া। গ্রুপ ‘জি’তে ব্রাজিলের অন্য দুই প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।