বিশ্বকাপ জিতে পিএসজিতে ফেরার পর প্রথম মাঠে নেমেছেন। ফরাসি ক্লাবটির কাছ থেকে বিশেষ সংবর্ধনা তো আশা করতেই পারতেন লিওনেল মেসি। কিন্তু কাল রাতে অঁজের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই জানা গিয়েছিল, মাঠে বিশেষ কোনো কিছুর আয়োজন করবে না পিএসজি।
এর কারণও জানা গেল, ফরাসি ফুটবলপ্রেমীদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত। তা ছাড়া পিএসজি তাদের অনুশীলন মাঠে মেসিকে দেওয়া ‘গার্ড অব অনার’কেই যথেষ্ট মনে করেছে। হাজার হোক পিএসজি তো ফ্রান্সেরই ক্লাব, আর মেসির আর্জেন্টিনা তো বিশ্বকাপ জিতেছে ফ্রান্সকে হারিয়েই।
কিন্তু যে ফরাসি দর্শকদের কথা মাথায় রেখে পিএসজির এত ঢাক ঢাক গুড় গুড়, সেই দর্শকেরাই কাল মেসিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। ম্যাচের আগে মেসির নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনি দিয়ে আর্জেন্টাইন তারকাকে বরণ করে নিয়েছেন দর্শক। যে দর্শকদের আনন্দ দিতে খেলেন মেসি, তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক এই ‘সংবর্ধনা’ যে আর্জেন্টাইনকে আনন্দ দিয়েছে, সেটি না বললেও চলে।
পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়েরও হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন। কিছুদিন আগে বড় গলায় বলেছিলেন, মেসিকে মাঠে সংবর্ধনা না দেওয়ার কোনো কারণ তিনি দেখেন না। কাল পিএসজি সমর্থকেরা যেন তাঁর মুখ রক্ষা করলেন!
ম্যাচের পর মেসি প্রসঙ্গে গালতিয়েরকেও ফুরফুরে মেজাজেই পাওয়া গেল। বিশ্বকাপ জেতার পর আনন্দ-উৎসবের মধ্যেও মেসি যে নিজের ফিটনেস দারুণভাবে ধরে রেখেছেন, সেটিরও প্রশংসা করেছেন। অঁজের বিপক্ষে মাঠে নেমেই যে দারুণ এক গোলে সমর্থকদের মন ভরিয়ে দিয়েছেন মেসি।
মেসিকে দর্শকদের দেওয়া সংবর্ধনার প্রসঙ্গে গালতিয়ের দারুণ উচ্ছ্বসিত, ‘আমি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যে তারা মেসিকে দারুণভাবে স্বাগত জানিয়েছে। আমি নিশ্চিত, বিশ্বকাপ জিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে দর্শকদের এই সংবর্ধনা মেসিকে আপ্লুত করেছে।’ বিশ্বকাপজয়ী মেসিকে অঁজের বিপক্ষে দারুণ লেগেছে কোচের, ‘মেসি নিজেকে দারুণভাবে ধরে রেখেছে। বিশ্বকাপ জয়, এরপর আনন্দ-উদ্যাপনের আড়মোড়া ভেঙে দ্রুতই নিজেকে খেলার মতো অবস্থায় নিয়ে এসেছে। সে ফিরে অনেকগুলো অনুশীলন সেশন করেছে আমাদের সঙ্গে। ফিটনেস দুর্দান্তই মনে হয়েছে।’
মেসিকে দলের কতটা গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনে করেন গালতিয়ের সেটিও বলেছেন, ‘মেসি গোল করতে পছন্দ করে। আর মেসির মতো একজন তারকার কাছ থেকে সব দলই গোল চাইবে। শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে দারুণ চাঙা অবস্থায় আছে। তাঁর দ্রুতই মাঠে ফেরার দরকার ছিল, আর আমাদের জন্যও তাঁর মাঠে ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মেসির থাকা আর না থাকার মধ্যে পার্থক্য আছে।’