এ মুহূর্তে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কোনো ক্লাব নেই। গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে গেছে। ক্লাবহীন রোনালদো বিশ্বকাপের পরই পা রাখতে যাচ্ছেন নতুন ঠিকানায়। সেই ঠিকানাটি ইউরোপের কোনো ক্লাব নয়, সৌদি আরবের আল–নাসর!
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, দুই পক্ষের আলোচনা শেষ পর্যায়ে। বছরে ২০ কোটি ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি) বেতনে আড়াই বছরের চুক্তির সমঝোতাও হয়ে গেছে।
চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গেলে ৩৭ বছর বয়সী রোনালদোই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া ফুটবলার।
বিশ্বকাপ খেলতে কাতারে পা রাখার সময়ও ইউনাইটেডের খেলোয়াড় ছিলেন রোনালদো। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁর একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের সূত্রে ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে। সাক্ষাৎকারে ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ, কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মালিকপক্ষের সমালোচনা করেন তিনি। এর জেরে দুই পক্ষের পারস্পরিক সমঝোতায় চুক্তি বাতিলের খবর আসে।
রোনালদো অবশ্য সর্বশেষ দলবদল মৌসুমেও ইউনাইটেড ছাড়তে চেয়েছিলেন। তবে মার্কা, ডেইলি মেইলসহ একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ীকে কোনো ইউরোপীয় ক্লাব নিতে রাজি হয়নি। ওই সময় সৌদি আরবের ক্লাব আল–হিলাল তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল।
পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদোও নিশ্চিত করেন, ৩৫ কোটি ইউরোয় সৌদির একটি ক্লাব তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিল। তখন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে ইউরোপের ক্লাব খুঁজছিলেন তিনি।
মার্কা বলছে, ক্লাবহীন রোনালদোকে এবার বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদির আল–নাসর, যা ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের যেকোনো ক্লাবের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। ইউরোপের বড় কোনো ক্লাবেরও আগ্রহ না থাকায় আল–নাসরকে নিয়ে ইতিবাচক মত দেন রোনালদো।
সৌদির ফুটবল লিগে আল–নাসর সবচেয়ে সফল ক্লাব, জিতেছে ৯টি শিরোপা। প্রিন্স ফয়সাল বিন তুর্কির মালিকানাধীন ক্লাবটির বর্তমান কোচ রোমা ও মার্শেইয়ের সাবেক কোচ রুডি গার্সিয়া।
৩২ বছর বয়সী স্প্যানিশ সেন্টারব্যাক আলভারো গঞ্জালেস এবং কলম্বিয়ান গোলকিপার ডেভিড ওসপিনাও আল–নাসরে খেলেন।