২০২৩ সালের বর্ষসেরা রানারআপ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন
২০২৩ সালের বর্ষসেরা রানারআপ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন

বর্ষসেরা রানারআপ ২০২৩

রাকিবের স্বপ্নপূরণ

দেশের ফুটবলে অনেক দিন ধরেই একজন ‘নাম্বার নাইন’ নেই। সেই অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করেছেন রাকিব হোসেন। রাকিব এখন শুধু বাংলাদেশের সেরা ফরোয়ার্ডই নন, অনেকের চোখে দক্ষিণ এশিয়ার সেরাও। গত বছরটা তাঁর দারুণ কেটেছে। ১০ বছর পর তাঁর হাত ধরেই প্রথম আলোর ক্রীড়া পুরস্কারে কোনো ফুটবলার পেলেন বর্ষসেরা রানারআপের পুরস্কার। এবার রাকিব হয়েছেন দুই বর্ষসেরা রানারআপের একজন।

এতে মনের ভেতর লালিত একটা স্বপ্নও নাকি পূরণ হয়েছে তাঁর। পুরস্কার নিতে গিয়ে মঞ্চে বলেছেন, ‘পুরস্কারটা পেয়ে খুব ভালো লাগছে। সব সময় দেখে এসেছি প্রথম আলোর এই পুরস্কার অন্যরা পাচ্ছে। আমারও স্বপ্ন ছিল কবে এটা পাব। পেয়ে খুব খুশি আমি।’

জাতীয় দলের জার্সিতে ৩৭ ম্যাচে তাঁর গোল ৪টি। যার মধ্যে ৩টিই ২০২৩ সালে। জুনে ভারতে হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপ, ভুটান ও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল করেছেন। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দল ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে উঠেছে। তাতে বড় অবদান রাকিবের।

রাকিব হোসেনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম

প্রথাগত স্ট্রাইকার ছাড়াই দল মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কিন্তু রাকিব উইংয়ে খেলার পাশাপাশি স্ট্রাইকারের ভূমিকায়ও দারুণ ছন্দে ছিলেন। ২০২৩ সালে পরবর্তী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও জ্বলে উঠতে চান তিনি, জিততে চান অধরা টুর্নামেন্ট।

রাকিবকে দেশের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি দিতে এখন দ্বিধা করেন না অনেকেই। ক্লাব ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের সাফল্যের পেছনে তাঁর বড় অবদান। রাকিবের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে মঞ্চে এসে ২০১৪ সালের বর্ষসেরা রানারআপ ফুটবলার মামুনুল ইসলাম সেটাই বললেন বিশেষভাবে। রাকিবের প্রশংসা করে মামুনুল মনে করিয়ে দেন দেশের ফুটবলের স্ট্রাইকারের অভাবের কথা, ‘ভালো স্ট্রাইকার আমরা পাচ্ছি না। যে কারণে প্রত্যাশিত ফলও আসে না অনেক সময়। রাকিব স্ট্রাইকার হিসেবেও ভালো করছে। আরও অনেক দিন জাতীয় দলের ভার বহন করার সামর্থ্য ওর আছে।’