ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটি শেষ করতে পারেননি লিওনেল মেসি। খেলা শেষ হওয়ার একটু আগে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিকে মাঠ ছাড়ার কথা মেসি নিজেই বলেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে বলিভিয়ার বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়েও তৈরি হয় শঙ্কা।
তবে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের জন্য সুখবর হচ্ছে, মেসির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। এমনকি এর মধ্যে মেসি হালকা অনুশীলন করেছেন বলেও জানিয়েছে একাধিক আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম। তবে বলিভিয়া ম্যাচে মেসি শুরুর একাদশে থাকবেন কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
মেসির বর্তমান শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, আর্জেন্টিনা ও বলিভিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যাচ উপভোগ করার পর মেসি বুয়েনস এইরেসের একটি হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষায় মেসির শরীরে চোটের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। চোটমুক্ত হওয়ায় বলিভিয়ার বিপক্ষে মেসির মাঠে নামতে কোনো বাধা নেই বলেও জানিয়েছে তারা।
এর আগে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের পর মেসিকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে স্কালোনি বলেছেন, ‘উঠে আসার কথা লিও-ই বলেছিল। নইলে আমি এটা করতাম না। এখন দেখতে হবে, ওর (মেসি) কী অবস্থা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। জানি না, কী হয়েছে তার। তবে সুস্থ থাকলে বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলবে।’
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত দুইটায় বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ম্যাচ। এর আগে গত শুক্রবার ফ্রি কিক থেকে মেসির গোলেই ইকুয়েডরকে ১-০ ব্যবধানে হারায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে বাছাইপর্বে অংশ নেওয়া ১০টি দল ১৮টি করে ম্যাচ খেলবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৬ দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০২৬ বিশ্বকাপে। সপ্তম দলটিকে খেলতে হবে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ। বাছাইপর্ব নিয়ে স্কালোনি বলেছিলেন, ‘এটা কখনো সহজ হবে না। সর্বশেষ ম্যাচটাই বেশ কঠিন ছিল এবং সামনেও এমনই হবে। আমাদের সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, আমরা অজেয় নই।’
এ ছাড়া বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি লাপাজে হওয়ায় কিছুটা অস্বস্তি থাকতে পারে আর্জেন্টাইনদের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে হওয়ায় খেলোয়াড়দের বেশ ভুগতে হয় এই মাঠে। এর আগে এ মাঠে আর্জেন্টিনার ৬-১ গোলে হারের অভিজ্ঞতাও আছে। তবে বলিভিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে সুখস্মৃতি আছে মেসির। তাঁর হ্যাটট্রিকে সেই ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। যদিও ম্যাচটি হয়েছিল আর্জেন্টিনার মাটিতেই।