ফরাসি লিগ ‘আঁ’র ম্যাচে গতকাল রাতে শুরুর একাদশে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। পিএসজিকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার কারণে তাঁকে একাদশের বাইরে রাখা কি না, এমন প্রশ্ন ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেউ কেউ একে এমবাপ্পের জন্য ‘শাস্তি’ হিসেবেও দেখছিলেন।
কিন্তু ম্যাচে লড়াই করতে থাকা পিএসজিকে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামাতেই হলো এমবাপ্পেকে। ৬২ মিনিটে মাঠে নেমে গোলও করেছেন এই ফরাসি তারকা। নঁতের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পিএসজি।
প্রতিপক্ষের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে মোটেই ভালো খেলতে পারেনি পিএসজি। বিরতির আগমুহূর্তে নঁতের গোল বাতিল না হলে পিছিয়েও যেতে পারত তারা। বাতিল হওয়া গোল বাদ দিলে নঁতেও অবশ্য খুব একটা ভালো খেলতে পারেনি।
বিরতির পরও পিএসজিকে সেরা ছন্দে দেখা যাচ্ছিল না। এর মধ্যেই অবশ্য ধুঁকতে থাকা পিএসজিকে স্বস্তি এনে দেন লুকাস হার্নান্দেজ। ম্যাচের ৬০ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। এই গোলের দুই মিনিট পরেই মাঠে নামেন এমবাপ্পে।
এমবাপ্পে মাঠে নামার পর গতি আসে পিএসজির খেলায়। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে পেনাল্টিও আদায় করে নেন এই ফরোয়ার্ড। বক্সের ভেতর বলের দখল নিতে গিয়ে তাঁকে ফেলে দেন ডগলাস আগুস্তো। স্পট কিক থেকে এমবাপ্পে লক্ষ্যভেদ করে নিশ্চিত করেন দলের জয়। এ জয়ে ২২ ম্যাচে ১৬ জয়, ৫ ড্র এবং ১ হারে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান আরও সংহত করল পিএসজি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিসের চেয়ে ১৪ পয়েন্টে এগিয়ে গেল তারা।
এমবাপ্পেকে বেঞ্চে বসানো নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও দলবদল–বিশেষজ্ঞ ও ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, তাঁকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত মূলত কোচের ছিল, ক্লাব কর্তৃপক্ষের নয়। মূলত চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের পর দলের অন্যতম সেরা তারকাকে কিছুটা বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে প্রথমার্ধে ভালো করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভাগ্যের সহায়তা পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন পিএসজি কোচ এনরিকে, ‘এটা কঠিন ছিল। যখন একটি দল জায়গা কম দেয় এবং শারীরিকভাবে উজ্জীবিত থাকে, তখন জায়গা পাওয়া কঠিন। প্রথমার্ধে আমরা খুব একটা উজ্জীবিত ও গতিময় ছিলাম না, যা আমাদের ভুগিয়েছে। কিন্তু এরপর আমাদের প্রতিপক্ষ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভাগ্যের কিছুটা সহায়তা নিয়ে আমরা গোল আদায় করি। আমাদের জন্য পরপর তিনটি জয় পাওয়া এবং তালিকার শীর্ষে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’