মেসির সঙ্গে গারনাচো
মেসির সঙ্গে গারনাচো

টিভিতে যাঁকে দেখেছেন, সেই মেসির সতীর্থ হয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না গারনাচোর

বাবা আলেক্স স্প্যানিশ, মা পাত্রিসিয়া আর্জেন্টাইন। মা-বাবা দুজনকেই খুশি রাখতে আলেহান্দ্রো গারনাচো বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলেছেন দুই দেশের হয়েই। কিন্তু জাতীয় দল হিসেবে স্পেন ও আর্জেন্টিনা দুটিকে বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। সেই সুযোগটা অবশ্য চাচ্ছেনও না গারনাচো।

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওআইসি স্পোর্টসে যে সাক্ষাৎকার গারনাচো দিয়েছেন, সেখানেই স্পষ্ট বাবা স্প্যানিশ হলেও গারনাচো মনেপ্রাণে একজন আর্জেন্টাইন।টেলিভিশনের পর্দায় দেখা মেসিই এখন তাঁর সতীর্থ সেটাও বিশ্বাস হচ্ছে না গারনাচোর।

দুই অভিভাবক দুই দেশের হওয়ায় স্পেন-আর্জেন্টিনা উভয় দেশের নাগরিকত্ব আছে গারনাচোর। ফিফার নিয়ম অনুসারে, দুই দেশের নাগরিক এমন কোনো ফুটবলার চাইলে দল পরিবর্তন করতে পারবেন।

চোটের কারণে ইউনাইটেডের হয়ে মৌসুমের অনেকটা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে গারনাচোকে

তবে যে দলটি পরিবর্তন করবেন, সেই দলের হয়ে তিন ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে এখনো গারনাচো মাঠেই নামেননি। তাই দল পরিবর্তন করে স্পেনের হয়ে খেলার সুযোগটা এখনো ভালোভাবেই আছে গারনাচোর।

গারনাচো অবশ্য এমন কিছু ভাবছেনই না, ‘আমি আর্জেন্টাইন, তাদের মতোই অনুভব করি। তিন ম্যাচে আমার খেলতে হবে না। আমি আর্জেন্টিনার হয়ে এই সফরে (এশিয়া) আছি, এখানে যদি আমার অভিষেক না-ও হয়, তাতেও কিছু আসে যায় না। আমি নিশ্চিত, আমি আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে থাকতে চাই এবং এটাই হবে। আর্জেন্টিনার হয়ে ক্যারিয়ারটা গড়তে চাই, কোচ আমাকে বিশ্বাস করলে আমি বারবার আসতে চাই। কোপা আমেরিকা, বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দলের অংশ হতে চাই।’

মেসি প্রসঙ্গে গারনাচো বলেছেন, ‘ আমি মেসির সঙ্গে খুব বেশি কথা বলিনি। সব সময় তাকে টিভিতে দেখে আসছি, এখন সে আমার সতীর্থ। এটা অবিশ্বাস্য, এটা সত্য নয়!’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গারনাচো। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন এই উইঙ্গারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই থাকছেন তিনি। গারনাচোর সঙ্গে আগে ইউনাইটেডের চুক্তি ছিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এই মৌসুমে ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছেন ৩৭ ম্যাচ। করেছেন ৬ গোল, করিয়েছেন আরও ৬টি।

মৌসুমটা আরও ভালো হলেও হতে পারত। তবে অ্যাঙ্কেলের চোটের কারণে ইউনাইটেডের হয়ে মৌসুমের অনেকটা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে এই ফুটবলারকে।

এ চোটের কারণেই মূলত এখনো আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা হয়নি গারনাচোর। আর্জেন্টিনার হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপেও খেলার কথা ছিল এই উইঙ্গারের। তবে ইউনাইটেড কোচ টেন হাগের আপত্তিতে খেলা হয়নি গারনাচোর, ‘আমি কোচের সঙ্গে অনেক কথা বলেছি, আমাকে খেলতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। সে বলেছে, “এটা সম্ভব নয়”। এরপরও আমি টেলিভিশনে চোখ রেখেছি।’