ম্যাচটা হয়েছে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসে। সাধারণত যে দলের মাঠে খেলা হয়, তাদেরই বেশি আক্রমণাত্মক দেখা যায়। তবে আজকের আর্জেন্টিনা-পেরু ম্যাচের শৃঙ্খলাবিষয়ক পরিসংখ্যান বলছে, ম্যাচে বেশি ফাউল করেছে পেরু। আর্জেন্টিনার ১০ ফাউলের বিপরীতে পেরুর ফাউল প্রায় দ্বিগুণ—১৮টি।
তবে পেরু অধিনায়ক পাওলো গিরেরোর অভিযোগ, আর্জেন্টিনার ফাউলই ছিল বেশি। কিন্তু রেফারি সেসব এড়িয়ে গেছেন। পক্ষপাতমূলক আচরণ করে পেরুর বিরুদ্ধেই বারবার ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছেন। এমনকি লিওনেল মেসিকে আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলেও ফাউল ডাকা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের (কনমেবল) খেলায় আজ আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে পেরু। ম্যাচে দলটি মোট ৩টি লাল কার্ড দেখেছে। দুটি হুলিয়ান আলভারেজকে, একটি আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টারকে ফাউলের দায়ে। মেসিকে ফাউল করার দায়ে কেউ কার্ড দেখেননি। তবে বারবার ফাউলের বাঁশি বাজানোয় স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ পেরু অধিনায়ক।
৪০ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার ম্যাচ শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি জানি না আপনারা এই ম্যাচকে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন বা কী খুঁজে পাবেন। কিন্তু শারীরিকভাবে আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। রেফারি যখন ম্যাচে প্রভাব ফেলে, সেটা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তিনি আমাদের ওপর চাপ তৈরি করে গেছেন।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দুই মৌসুম বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছেন গিরেরো। বর্তমানে পেরুর ক্লাব সিজার ভালেওতে খেলা এই অভিজ্ঞ ফুটবলার রেফারির পক্ষপাতিত্বের উদাহরণ দিতে গিয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসির প্রসঙ্গ টানেন, ‘আমাদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটা ফাউলও ডাকা হয়নি। কিন্তু আমরা যখন মেসিকে একটা আঙুল দিয়েও স্পর্শ করেছি, রেফারি ফাউল ডেকে বসেছেন। কেউ এ নিয়ে কিছুই বলেনি। কারণ ওটা মেসি ছিল।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকায় আর্জেন্টিনা ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে। ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে উরুগুয়ে। পেরু ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের মধ্যে সবার নিচে।