চোটের কারণে তাঁর খেলারই কথা ছিল না।
রোমা কোচ জোসে মরিনিও তো বলেই দিয়েছিলেন পাওলো দিবালার চোটের যে ধরন, তাতে তাঁকে ইউরোপা লিগ ফাইনালে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। তবু মরিনিও চেয়েছিলেন মৌসুমের শেষ ম্যাচে দিবালা যেন ১৫-২০ মিনিট খেলেন।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে সেভিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে শেষ পর্যন্ত দিবালা খেলেছেন। গোল করে রোমাকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে মেসির পর প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে ইউরোপের কোনো ক্লাব টুর্নামেন্টের ফাইনালে গোল করলেন দিবালা। যদিও তাঁর গোল রোমাকে জেতাতে পারেনি। জিয়ানলুকা মানচিনির আত্মঘাতী গোলে লিডটা ধরে রাখতে পারেনি রোমা। পরে টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে দিবালার দল হেরেছে ৪-১ গোলে। সেভিয়া জিতেছে ইউরোপা লিগে নিজেদের সপ্তম শিরোপা।
২০১১ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বার্সেলোনার হয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল করেছিলেন মেসি। সেই ফাইনালে বার্সেলোনা ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। মেসি ছাড়াও বার্সার হয়ে গোল করেছিলেন পেদ্রো ও ডেভিড ভিয়া। ইউনাইটেডের হয়ে গোল করেছিলেন ওয়েন রুনি। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের সেই ফাইনালের পর ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে আর কোনো ফাইনালে আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা গোল করতে পারেননি।
গোলের পর রোমা দলের ফিজিওর সঙ্গে এক আবেগময় দৃশ্যের অবতারণা করেন দিবালা। তাঁর উদ্যাপনে ছিল একরাশ কৃতজ্ঞতা। গোল করেই তিনি ছুটে যান কর্নার পতাকার দিকে। সেখানে ছুটে আসেন ফিজিও। দুজন দুজনকে জড়িয়ে দারুণভাবে উদ্যাপন করেন গোলটি। যে ম্যাচে খেলারই কথা ছিল না, ফিজিওর সহায়তায় সেটিতে খেলেছেন প্রথম একাদশেই, করলেন গোলও। তবে শেষ পর্যন্ত দিবালার এই গোলের মানটা রাখতে পারল না রোমা—এই দুঃখটা থেকেই যাবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারের।