চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার বার্সেলোনার মাঠে খেলেছে নাপোলি, বুধবার আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে ইন্টার মিলান। দুই ম্যাচের কোনোটিতেই রিয়াল মাদ্রিদ না থাকলেও ‘উপস্থিত’ ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ২৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে ঘিরে বর্ণবাদী শব্দ ও বিদ্বেষী স্লোগান উচ্চারিত হয়েছে দুই মাঠেই।
বার্সেলোনা ও আতলেতিকো সমর্থকদের ‘আক্রমণের’ শিকার হওয়া ভিনিসিয়ুসের হয়ে এবার জোরালোভাবে মাঠে নেমেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাবটি স্প্যানিশ ‘হেট ক্রাইম’ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে ভিনির বিরুদ্ধে হওয়া বর্ণবাদী ও ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ করেছে।
বুধবার রাতের আতলেতিকো–ইন্টার মিলানের চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের আগে মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে ভিনির নামে বর্ণবাদী স্লোগানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে স্টেডিয়ামে ঢুকতে থাকা কিছু দর্শককে ভিনির নাম নিয়ে ‘শিম্পাঞ্জি’ বলে ডাকতে শোনা যায়। গত জানুয়ারিতে কোপা দেল রে শেষ ষোলোর মাদ্রিদ ডার্বিতেও একই শব্দ শোনা গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগে আতলেতিকো–ইন্টার ম্যাচের আগের দিন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বার্সেলোনা–নাপোলি ম্যাচেও ‘ভিনি, তুমি মরো’ স্লোগান উঠেছিল।
রিয়াল মাদ্রিদে প্রায় অর্ধযুগ কাটিয়ে দেওয়া ভিনিসিয়ুসের ক্ষেত্রে এসব ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। প্রায় প্রতি মাসেই এক বা একাধিকবার বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তিনি। এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে পরপর দুই দিন এর পুনরাবৃত্তি হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাবের এক বিবৃতিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের খবর জানিয়ে বলা হয়, ‘রিয়াল মাদ্রিদ প্রসিকিউটর কার্যালয়কে বলা হয়েছে, তারা যেন বর্ণবাদ ও বিদ্বেষপ্রসূত আক্রমণকারী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে জিজ্ঞাসা করে।’ ভিনিসিয়ুসের বিরুদ্ধে লাগাতার ঘৃণাভাব প্রকাশকারী স্লোগান ও বর্ণবাদী উচ্চারণে রিয়াল নিন্দা প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার লা লিগা জানিয়েছে, ভিনির নামের স্লোগান মাঠের বাইরে ঘটলেও তারা প্রসিকিউর কার্যালয়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে। ভিনিসিয়ুস নিজেও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও উয়েফাকে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আশা করি, আপনারা এরই মধ্যে তাদের শাস্তি প্রদানের কথা ভাবছেন। এটা খুবই বেদনাদায়ক যে ঘটনাগুলো এমন জায়গায় ঘটেছে, যেখানে আমি উপস্থিতই ছিলাম না।’ একুশ শতকেও এ ধরনের আচরণ অবিশ্বাস্য উল্লেখ করে ভিনিসিয়ুসের পোস্টে মন্তব্য করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাও।