৫ ম্যাচে ২ জয়, ১ হার ও ২ ড্র! পিএসজির মৌসুমের শুরুর চিত্রটা এমনই। লিওনেল মেসি-নেইমারের বিদায়ের পর নতুন করে সব শুরু করতে চেয়েছিল দলটি। কিন্তু সেই শুরুর শুরুটা একেবারেই ভালো হলো না। এমনকি গতকাল নিসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলের পরও জিততে পারেনি পিএসজি। ৩-২ গোলের হারে পয়েন্টে টেবিলের তিন নম্বরে নেমে গেছে পিএসজি।
৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মোনাকো। আর ৫ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে নিস। তিনে থাকা পিএসজির পয়েন্ট ৮। পরিসংখ্যান বলছে, পিএসজির পাওয়া ৮ পয়েন্ট ২০১০-১১ মৌসুমের পর তাদের সর্বনিম্ন পয়েন্ট। অর্থাৎ নাসের আল খেলাইফির মালিকানায় এটিই পিএসজির সবচেয়ে বাজে শুরু।
আর এমন শুরুর পর নতুন দায়িত্ব নেওয়া কোচ লুইস এনরিকে বেশ চাপেই পড়লেন। যদিও তিনি অবশ্য এই চাপ নিয়ে ভাবছেন না। এমনকি দলের হার নিয়েও নন বিশেষ উদ্বিগ্ন। গতকাল ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ বলেছেন, ‘আপনি যখন শতভাগ দেবেন, এরপরও কি আপনার প্রতি আমার অভিযোগ থাকা উচিত? আমাদের অবশ্যই উন্নতি করতে হবে। হ্যাঁ, এটা আমরা জানি। কিন্তু আমি উদ্বিগ্ন নই।’
তবে মুখে যতই বলুন, এনরিকের জন্য উদ্বিগ্ন না হওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে গোল করায় সমস্যা না হলেও রক্ষণে বেশ ভুগতে হচ্ছে দলটিকে। মোনাকোর করা ১৩ গোলের পর এখন পর্যন্ত লিগ ‘আঁ’তে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছে পিএসজি। এমনকি এই দুই দল ছাড়া আর কোনো দল গোলে দুই অঙ্ক স্পর্শও করেনি। আর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ৮ দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল হজম করা দলও কিন্তু পিএসজি।
এখন পর্যন্ত ৬ গোল খেয়েছে তারা। ফলে গোল করেও বিশেষ কোনো লাভ হচ্ছে না। এনরিকেকে এখন খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে হবে, নয়তো সামনে আরও বড় বিপদই অপেক্ষা করছে। পিএসজির মতো কোচ বদলের জন্য পরিচিত ক্লাব হয়তো খুব বেশি সুযোগ দেবে না। তাই যা করার দ্রুতই করতে হবে।
অন্য দিকে পিএসজির পরের ম্যাচ চ্যাম্পিয়নস লিগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে মুখোমুখি হবে এ দুই দল। ‘মৃত্যুকূপ’খ্যাত এই গ্রুপে ব্যর্থতায় শুরুর কোনো সুযোগই নেই। এই গ্রুপের অন্য দুই দল নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও এসি মিলান। এই গ্রুপে শুরু থেকে ধাক্কা খেলে তা সামলে নিয়ে লড়াইয়ে ফেরা বেশ কঠিনই হবে পিসএসজির জন্য।