ইউরোপিয়ান ফুটবলের সেরা তারকাদের দলে ভেড়াতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। গত জানুয়ারিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দলে ভিড়িয়ে এ অভিযান শুরু করে সৌদি ক্লাব আল নাসর। এরপর আল নাসরের পথ ধরে মাঠে নেমেছে অন্যরাও। তাদের চোখ ছিল লিওনেল মেসি, করিম বেনজেমা, সের্হিও রামোস এবং এনগোলো কান্তের মতো তারকাদের ওপর। মেসি শেষ পর্যন্ত এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে গেলেও বেনজেমাকে সৌদি ক্লাব আল ইত্তিহাদ দলে ভেড়াতে পেরেছে।
ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার ঘোষণা গত পরশু রাতে মেসি নিজেই দিয়েছেন। মেসিকে নিতে না পারলেও এখন অন্য তারকাদের দিকে হাত বাড়িয়েছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। যেখানে তাদের পরবর্তী লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি মিডফিল্ডার কান্তে। বেনজেমার সতীর্থ হয়ে কান্তের আল ইত্তিহাদে যাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে কয়েক দিন ধরে। দুই পক্ষ নাকি চুক্তির ব্যাপারে কথাও সেরে ফেলেছে। তবে সব যখন ঠিকঠাক, বাদ সেধেছে কান্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল।
আল ইত্তিহাদের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, কান্তের ক্লাবটিতে আসার প্রক্রিয়া থমকে গেছে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জটিলতার কারণে। সেই সূত্রটি বলেছে, ‘কান্তে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, চূড়ান্ত চুক্তি নয়। আমরা এখনো স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল পর্যালোচনা করে দেখছি। তার চোটের লম্বা ইতিহাস আছে। এত বড় চুক্তি সম্পন্ন করার আগে আমরা সতর্ক থাকতে চাই।’
৩২ বছর বয়সী কান্তেকে সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদের একজন বিবেচনা করা হয়। চেলসির চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় এবং ২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়েও তিনি দারুণ অবদান রেখেছিলেন। কিন্তু গত মৌসুমের প্রায় পুরোটাই চোটের কারণে নাকাল হয়ে ছিলেন কান্তে।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে চেলসির হয়ে ১৮৯ দিন (২০২২ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি) মাঠের বাইরে ছিলেন এই মিডফিল্ডার। এ সময় তিনি চেলসির হয়ে ৩০টি ম্যাচ মিস করেছেন। পাশাপাশি ২০২২ সালের বিশ্বকাপেও খেলা হয়নি তাঁর। পরে চোট কাটিয়ে ফিরলেও খুব বেশি দিন মাঠে থাকতে পারেননি। দুই দফায় ফিটনেস জটিলতার কারণে ৮ ম্যাচ মাঠের বাইরে ছিলেন কান্তে। ফরাসি তারকার এমন চোটপ্রবণতাই ভাবাচ্ছে ইত্তিহাদ কর্তৃপক্ষকে।