এবারের স্পেন আর ২০১২ সালের স্পেনের খেলার ধরনে বড় পার্থক্য দেখেন অনেকেই। এক যুগ আগের দলটি খেলত ছোট ছোট পাসে, বল দখলে রেখে ধীরে ধীরে খেলায় নিয়ন্ত্রণ তৈরি করে। যা তিকিতাকা নামে পরিচিত ছিল। আর বর্তমান দলটি খেলে লম্বা পাসে গতিময় ফুটবল।
খেলার ধরনের পার্থক্য থাকলেও স্পেনের এই দলটির সাফল্যে আগের দলেরও ভূমিকা দেখছেন রদ্রি। এবারের ইউরোয় সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাওয়া এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার নিজেদের ইউরো জয়ে পূর্বসূরিদের কৃতিত্ব দিয়েছেন। আর ইউরোজয়ী অধিনায়ক আলভারো মোরাতা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন সাবেক অধিনায়ক আন্দ্রে ইনিয়েস্তার নাম।
গতকাল রাতে বার্লিনে ইংল্যান্ডকে ২–১ গোলে হারিয়ে জেতা ইউরো ট্রফিটি স্পেনের চতুর্থ। তিকিতাকা প্রজন্মের হাত ধরে এসেছিল ২০০৮ ও ২০১২ আসরের ট্রফি। একই দল ২০১০ সালে জিতেছিল ফিফা বিশ্বকাপও। সেই দলের সাফল্যের ধারা এবারের জয়ে ভূমিকা রেখেছে মনে করেন রদ্রিও, ‘বলা হয়ে থাকে, আগের প্রজন্ম আমাদের জন্য ভিত গড়ে দিয়ে গেছে। এখন আমরা ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন। এটা আমাদের সবার জন্যই অবিশ্বাস্য একটা দিন। আমরা ইতিহাস গড়েছি।’
ফাইনালে ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল স্পেন। গ্রুপপর্বে ইতালি, কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানি এবং সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আসে তারা। এর মধ্যে কোনো ম্যাচেই টাইব্রেকারে যেতে হয়নি দলটিকে। বয়সভিত্তিক দলে পাওয়া সাফল্যের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে বলে ধারণা রদ্রির, ‘এই ট্রফিটা জেতার পথে আমরা চারটা সাবেক চ্যাম্পিয়নকে হারিয়েছি। আমাদের অনেকে বয়সভিত্তিক ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছি, এখন আমরা ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন।’
স্পেনের এবারের ইউরোজয়ী দলটিতে নেতৃত্বের বাহুবন্ধনী ছিল মোরাতার হাতে। টুর্নামেন্টের মাঝপথে অবসরের ইঙ্গিত টানা এই ফরোয়ার্ড ইউরো জয়ের পর তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে করা প্রশ্নে সাবেক অধিনায়ক ইনিয়েস্তার ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলার আদর্শ সময় নয় এটা। স্বার্থপরের মতো শোনাবে। সময়টা আমরা উপভোগ করি। আমি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার স্ত্রী, পরিবার ও আন্দ্রে ইনিয়েস্তার প্রতি। তিনি না থাকলে আমার এবারের ইউরোয় খেলা হতো না।’