বিশ্বকাপের আগে থেকেই নানা ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করে আসছিল জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানগুলো। শুরুতে বাজির দরে এগিয়ে ছিল নেইমার-সিলভাদের ব্রাজিলই। তবে সেসব ভবিষ্যদ্বাণী ধোপে ঠেকেনি। অনেকের হিসাব-নিকাশ ও সমীকরণকে ভুল প্রমাণ করে ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স।
তবে জুয়াড়িরা এখন চাইছে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়। মেসির আর্জেন্টিনা যাতে কোনোভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে না যায়, সেই প্রার্থনাই এখন করছে তারা।
বিশ্বকাপের শুরু থেকে দারুণ ছন্দে আছেন লিওনেল মেসি। কখনো নিজে গোল করে, আবার কখনো গোলে সহায়তা করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। শুধু গোল করা বা করানোতেই নয়, মেসির জাদুর ঝলকও বিশ্বকাপজুড়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। তবে ফাইনালে অন্তত মেসির কাছ থেকে তেমন কিছু দেখতে চায় না জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান ফিডদারেসের প্রধান নির্বাহী উইলিয়াম উডহ্যামস বলেছেন, ‘আমরা মেসির গোল এবং আর্জেন্টিনার জয় নিয়ে ভয়ে আছি। আমরা চাই, এমবাপ্পে মেসির চেয়ে বেশি গোল করুক এবং ফ্রান্স যেন জিতে যায়। রোববার আমরা সবাই ফ্রান্সকেই সমর্থন করব।’
এদিকে যাঁরা বাজি ধরছেন, তাঁদের বেশির ভাগের ফেবারিট হচ্ছেন মেসি ও তাঁর দল। বিশেষ করে গোল্ডেন বুট জেতার ক্ষেত্রে এমবাপ্পের চেয়ে মেসিকেই এগিয়ে রাখছেন তাঁরা। যদিও এমবাপ্পেও মেসির সমান ৫ গোল করে ফাইনালে খেলতে নামবেন।
উডহ্যামস বলেছেন, ‘গোল্ডেন বুট জেতার ক্ষেত্রে সবাই মেসিকে নিয়েই বাজি ধরেছে। টুর্নামেন্টের শুরুতে এমবাপ্পের ওপর ভালোই বাজি ধরা হয়েছিল, তবে পরে লোকেরা মেসির সম্ভাবনা দেখতে শুরু করে এবং তারা নিজেদের অবস্থান বদলে ফেলে। এখন মেসি যদি গোল্ডেন বুট জেতে, আমাদের ক্ষতি হবে ৫ লাখ পাউন্ড।’
সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচে হারের পর আর্জেন্টিনার দারুণ আগ্রাসী রূপ দেখা গেছে। এমনকি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে সংঘর্ষে জড়াতেও দেখা গেছে আকাশি-সাদা দলের খেলোয়াড়দের। যে কারণে এখন আর্জেন্টিনা কয়টা হলদু কার্ড খেতে পারে, সেটা নিয়েও বাজি ধরা হচ্ছে। উডহ্যামস বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি, আর্জেন্টিনা মাঠে শান্ত থাকবে।’