আগে থেকেই পিএসজিতে দুটি স্কোয়াড ছিল—একটি মূল স্কোয়াড, আরেকটি বম্ব স্কোয়াড। এটা অনেক ক্লাবেরই আছে। ফুটবলে ‘বম্ব স্কোয়াড’ কথাটার একটা বিশেষ মানে আছে। সাধারণত অতি বেতনের খেলোয়াড়, যাঁরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেন না কিংবা ক্লাব আর যাঁদের দরকারি মনে করে না, তাঁদের যখন মূল দল থেকে আলাদা করে ফেলা হয়, তাঁদের ‘বম্ব স্কোয়াড’-এর সদস্য বলা হয়। এমবাপ্পের ক্ষেত্রে বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে গিয়ে ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ একটি শব্দ ব্যবহার করেছে ‘জেটিসনড’। অর্থাৎ উড়োজাহাজ থেকে যা নিক্ষেপ করা হয় কিংবা যাকে ত্যাগ করা হয়।
সম্প্রতি এমবাপ্পে নাকি এ নিয়ে কথা বলেছেন স্কাই স্পোর্টসের প্রধান প্রতিবেদক কাভে সোলহেকলের সঙ্গে। এমবাপ্পে সেখানে রীতিমতো লুইস এনরিকের মূল একাদশকে চ্যালেঞ্জই জানিয়েছেন। তা কীভাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি? এমবাপ্পে নাকি সোলহেকলকে বলেছেন, যেকোনো প্রতিযোগিতায় যেকোনো সময় পিএসজিতে এনরিকের মূল একাদশকে হারিয়ে দেবে তাঁর বম্ব স্কোয়াড!
পিএসজির বম্ব স্কোয়াড নতুন করে আলোচনায় এসেছে কিলিয়ান এমবাপ্পের কারণে। জুন মাসে তিনি চিঠি দিয়ে পিএসজিকে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মৌসুমের পর আর চুক্তি নবায়ন করবেন না। এরপর তাঁকে বিক্রি করতে উঠেপড়ে লাগে পিএসজি। কিন্তু এমবাপ্পে জানিয়ে দেন মেয়াদ শেষ না করে ক্লাব ছাড়বেন না। কারণ, মেয়াদ পূর্ণ করে দল ছাড়লে ৮ কোটি ইউরো আনুগত্য বোনাসের পুরোটা পাবেন ফরাসি স্ট্রাইকার।
এমবাপ্পে পিএসজি ছেড়ে যেতে চান রিয়াল মাদ্রিদে। স্পেনের ক্লাবটিও তাঁকে নিতে চায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব পিএসজিকে দেয়নি তারা। রিয়াল হয়তো অপেক্ষা করছে এমবাপ্পের মুক্ত খেলোয়াড় হয়ে যাওয়ার। তাহলে যে তাঁকে দলে পেতে ট্রান্সফার ফি লাগবে না তাদের। এমন অবস্থায় এমবাপ্পেকে পেতে পিএসজিকে ৩০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। কিন্তু সৌদি আরবে যেতে চান না বলে ক্লাবটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেই রাজি হননি এমবাপ্পে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে পিএসজি কর্তৃপক্ষ এমবাপ্পের ওপর চরম খেপেছে। তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রাক্–মৌসুম প্রস্তুতির এশিয়া সফরের দল থেকে। এরপর তো পিএসজি হুমকিই দিয়েছে, পুরো মৌসুম বসিয়ে রাখা হবে এমবাপ্পেকে। এরই অংশ হিসেবে তাঁকে বম্ব স্কোয়াডের অংশ করা হয়েছে। যেখানে আগে থেকেই ছিলেন লিয়ান্দ্রো পারেদেস ও ইউলিয়ান ড্রাক্সলার। এমবাপ্পে এখন তাঁদের সঙ্গেই অনুশীলন করছেন। বম্ব স্কোয়াডে যোগ দিতে বাধ্য হওয়ায় হয়তো রেগে আছেন এমবাপ্পে।