উত্তর লন্ডনের দুই ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। কেতাবি ভাষায় যাকে ‘নর্থ লন্ডন ডার্বি’ বলে। এ লড়াইয়ে দারুণ খেলে জিতেছে আর্সেনাল। হ্যারি কেইন, উগো লরিসদের টটেনহামকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। এই জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় আর্সেনাল শীর্ষে রইল দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৮ পয়েন্টের ব্যবধানে।
ম্যাচের শুরু থেকেই টটেনহামকে চেপে ধরেছিল আর্সেনাল। গোলও পেয়ে যায় খুব শিগগিরই। গোলকিপার উগো লরিসের ভুলেই এগিয়ে যায় তারা। মার্টিন ওডেগার্ডের শট ফেরাতে গিয়ে হাত ফসকে গোল খান ফ্রান্সের সদ্য বিদায়ী গোলকিপার। মাইকেল আর্তেতার কৌশলের সামনে টটেনহাম ছিল অসহায়। গত মৌসুমে এই টটেনহামের সঙ্গে হেরেই আর্সেনালের শীর্ষ চার-এ থাকা হয়নি। কোচ আর্তেতা সেটি মাথায় রেখেই আজ কৌশল সাজিয়েছিলেন। গত মৌসুমের ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরেই আজ টটেনহামের বিপক্ষে ঝাঁপিয়েছে আর্সেনাল।
প্রথমার্ধে পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল আর্সেনালের হাতেই। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই নিয়ন্ত্রণটা বজায় ছিল। টটেনহাম কোচ আন্তোনীয় কন্তে সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে শুধু দেখেছেন তাঁর দলের ব্যর্থতা। ৩৬ মিনিটে ওডেগার্ড আর্সেনালকে এগিয়ে দেন ২-০ গোলে। দূর থেকে নেওয়া শটে করা গোলটি ছিল দারুণ। লরিস বলে হাত লাগানোর কোনো সুযোগই পাননি।
টটেনহাম যে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি, তা-ও নয়। হ্যারি কেইন দুই অর্ধে দুটি সুযোগ নষ্ট করেছেন। টটেনহাম অধিনায়ক আর একটি গোল করলেই তাঁর ক্লাবের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার জায়গায় বসবেন। আর্সেনাল গোলকিপার অ্যারন রামসদালে দুই বাধা হয়ে ছিলেন কেইনের সামনে।
এই জয়ে ১৮ ম্যাচ খেলে আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ৪৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সমানসংখ্যক ম্যাচে ৩৯। তৃতীয় স্থানে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেড অবশ্য ম্যাচ খেলেছে একটি বেশি, তাদের পয়েন্ট ৩৮। চতুর্থ স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরও পয়েন্ট ৩৮। ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে টটেনহাম।