প্রথম ৪৫ মিনিট একপ্রকার ‘বেকার’ই ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। পিএসজির পাস-নির্ভর খেলায় প্রথমার্ধে তারকা ফরোয়ার্ডের বলে স্পর্শ ছিল মাত্র ১৫ বার। গোলকিপার বাদে মাঠে থাকা ২০ জনের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
তবে বিরতির পর পাল্টে গেলেন এমবাপ্পে। পাল্টাল পিএসজির স্কোরলাইনও। রিয়াল সোসিয়েদাদের জমাট রক্ষণ ভাঙলেন দারুণ ফিনিশিংয়ে, যে পথ ধরে পরে পিএসজি পেল আরও গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের গোলের সুবাদে চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর প্রথম রাউন্ডে সোসিয়েদাদকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পিএসজি। এমবাপ্পের সঙ্গে অপর গোলদাতা ব্রাডলি বারকোলা।
এ বছরের গ্রুপ পর্বের খেলায় রক্ষণের দিক থেকে সেরা দল ছিল রিয়াল সোসিয়েদাদ। ছয় ম্যাচই অপরাজিত (তিন জয়, তিন ড্র), চার ম্যাচে ক্লিনশিট, কম গোল হজম (২) এবং বিপক্ষে লক্ষ্যে শটও সবচেয়ে কম (১২)।
সেই ধারাটিই বজায় থাকল আজ পাক দে প্রিন্সেসের প্রথমার্ধেও। পিএসজি কিছুতেই ভাঙতে পারছিল না স্প্যানিশ ক্লাবটির দেয়াল। বিরতির আগে মাত্র ৪টি শট নেওয়ার সুযোগ পায় পিএসজি। যদিও গোলমুখ খোলা যায়নি।
চোটের কারণে লিগে লিলের বিপক্ষে ম্যাচ মিস করা এমবাপ্পে শুরুর একাদশে ফিরলেও ছিলেন নিস্প্রভ। দলের বাকিরাও ছিলেন অনুজ্জ্বল। বরং প্রথমাধের শেষ দিকে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল সোসিয়েদাদ। বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেওয়া মিকেল মেরিনোর শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য স্বাগতিকেরাই দাপট দেখিয়েছে। ৫৮ মিনিটে মারকিনিওসের হেড থেকে আসা বল ভলি করে জালে পাঠান এমবাপ্পে। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি তাঁর ৪৪তম গোল। এই গোলে একটি রেকর্ডও হয়েছে ফরাসি তারকার। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ঘরের মাঠে শুরু করা টানা ১০ ম্যাচে গোল (মোট ১৩) করলেন এমবাপ্পে।
পিএসজিকে প্রথম গোলের মতো দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৭০ মিনিটে সোসিয়েদাদ গোলকিপারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান বাড়ান ২১ বছর বয়সী বারকোলা। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধান ধরে রেখেই প্রথম লেগের খেলা শেষ করে পিএসজি।
৫ মার্চ দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে সোসিয়েদাদের মাঠে।