আর্জেন্টিনার হয়ে গত ডিসেম্বরে জিতেছেন বিশ্বকাপ। হয়েছেন বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকা। বিশ্বকাপ শেষে দলবদলের বাজারে তাঁকে নিয়ে কাড়াকাড়িও পড়েছে। শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে দামি হয়ে চেলসিতে নাম লেখান—এনজো ফার্নান্দেজের সময়টা এ সময় পর্যন্ত স্বপ্নের মতোই ছিল। কিন্তু চেলসিতে এসে যেন বাস্তবতার জমিনে পা পড়েছে আর্জেন্টাইন তারকার।
বিশ্বকাপ জিতে এসে নিজের ক্লাবকে প্রিমিয়ার লিগে ১১তম স্থানের ওপরে নিতে না পারার আক্ষেপ তো এনজো ফার্নান্দেজের থাকারই কথা। তবে এনজো নতুন করে শুরু করছেন চেলসির অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের অধীন। আজ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে এনজো উদ্ধুদ্ধ হয়েছেন কোচ ল্যাম্পার্ডের কথাতেই।
রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ২০১২ সালে চেলসির চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার ইতিহাসটা সবার সামনে তুলে ধরেছেন ল্যাম্পার্ড। এ মৌসুমের মতো সেবারও চেলসি প্রিমিয়ার লিগে খুব বাজে অবস্থানে ছিল।
কিন্তু রবার্তো দি মাত্তেওর অধীন সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল চেলসি, ‘কোচ ল্যাম্পার্ড আমাদের বলেছেন এ ম্যাচে মাথা উঁচু করে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে খেলতে। চেলসি ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। তিনি আমাদের ২০১২ মৌসুমের কথা শুনিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বলেছেন, ২০১২ সালটা ছিল তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে মৌসুম। কিন্তু তারপরও সেবার চেলসি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল।’
চেলসির আর্জেন্টাইন এই তারকা রোমাঞ্চিত রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের এ ম্যাচ নিয়ে। তবে ফার্নান্দেজ সোজাসাপটাই জানিয়েছেন, রিয়াল শক্তিশালী দল হলেও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এ ম্যাচ চেলসির মধ্যে কোনো শঙ্কা বা ভয় তৈরি করেনি, ‘আমরা সবাই জানি, রিয়াল মাদ্রিদ খুব শক্তিশালী ও বড় ক্লাব। ইতিহাসও অনেক সমৃদ্ধ। তাদের দলে অনেক বড় খেলোয়াড় আছে। কিন্তু আমরা নিজেরাও কম যাই না—এমন বিশ্বাস আমাদের মধ্যেও আছে।’