সেই যে ১১ আগস্ট প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে বার্নলির বিপক্ষে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়েছিলেন, তারপর থেকে ম্যানচেস্টার সিটি ভুগছিল কেভিন ডি ব্রুইনা-শূন্যতায়। টানা তিনবারের লিগজয়ীরা যে এবার শীর্ষ দুইয়ে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে, ডি ব্রুইনার অনুপস্থিতিই এর অন্যতম কারণ বলে বিশ্বাস অনেকের।
সিটি সমর্থকদের সেই ‘অ্যাসিস্ট কিং’ ডি ব্রুইনা আজ মাঠে ফিরেছেন। দীর্ঘ ১৪৮ দিন পর এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় হাডার্সফিল্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। আর ফিরেই ২০ মিনিটের মধ্যে করেছেন গোলে সহায়তা।
ম্যাচটা অবশ্য সহজেই জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয় স্তরের দল হাডার্সফিল্ডকে সিটি হারিয়েছে ৫-০ ব্যবধানে। জোড়া গোল করেছেন ফিল ফোডেন। একটি করে গোল হুলিয়ান আলভারেজ ও জেরেমি ডকুর। অন্যটি আত্মঘাতী।
ইতিহাদের ম্যাচটিতে সিটির জয় নিয়ে সংশয় ছিল সামান্যই। ৩৩ মিনিটে ফোডেন আর ৩৭ মিনিটে আলভারেজ গোল করে সেই সামান্য সংশয়ও প্রায় মুছে ফেলেন। সিটি সমর্থকেরা অপেক্ষায় ছিলেন ডি ব্রুইনার ফেরার। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সেরে ওঠা ডি ব্রুইনা গত সপ্তাহে লিগে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে ছিলেন। তবে পেপ গার্দিওলা তাঁকে মাঠে নামাননি।
ডি ব্রুইনা শুরুর একাদশে নামেননি আজও। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৫৭ মিনিটে আলভারেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় তাঁকে। মাঠে নেমে অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনীও পরেন বেলজিয়ান এই তারকা। ইতিহাদের দর্শকেরা তাঁকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান।
পাঁচ মাস পর মাঠে ফেরার ১৭ মিনিট পরই গোলের সুযোগ তৈরি করেন ডি ব্রুইনা, যা কাজে লাগিয়ে বল জালে পাঠান ডকু। এটি সর্বশেষ মৌসুমের শুরু থেকে তাঁর ৩০তম অ্যাসিস্ট। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে আর কোনো খেলোয়াড়ের একই সময়ে এত অ্যাসিস্ট নেই।
ডকুর গোলটি ছিল ম্যাচে সিটির পঞ্চম। এর আগে ৫৮ মিনিটে হাডার্সফিল্ডের বেন জ্যাকসনের আত্মঘাতী ও ৬৫ মিনিটে ফোডেনের কাছ থেকে আরও দুটি গোল পায় সিটি।
সব মিলিয়ে গার্দিওলার অধীন সিটির এটি ৪২তম বার পাঁচ বা তার বেশি গোলের জয়। ২০১৬ সালে গার্দিওলা সিটিতে আসার পর প্রিমিয়ার লিগের আর কোনো দল এর অর্ধেকও ৫ গোল বা তার বেশি ব্যবধানে জিততে পারেনি।